প্রবল বৃষ্টির পর দক্ষিণ চিন বন্যায় বেহাল। কয়েক লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নেওয়া হয়েছে। ভেসে গিয়েছে গাড়ি। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে।
চিনের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা গুয়াংডংয়ে বৃষ্টির পর বন্যায় রাস্তা ভেসে গিয়েছে, গাড়ি ভেসেছে, বাড়ি ভেঙে ভেসে গিয়েছে।
বন্যার জল বাড়তে থাকায় দুটি প্রদেশে বিপদসংকেত দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে। গুয়াংডংয়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২৬ কোটি ১০ লাখ ডলার।
আরও পড়ুন: 'প্রতিযোগী নয়, সহযোগী', ভারতের কাছে চারদফা প্রস্তাব রাখল চিন
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি হতে পারে। তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আপাতত ওই অঞ্চলে স্কুল, অফিস, যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।
জলসম্পদ মন্ত্রক বুধবার জানিয়েছে, চিনের ১১৩টি নদীর জল আশপাশের এলাকায় ঢুকে পড়েছে। সাতটি নদীতে জল বেড়ে চলেছে। গত রবিবার চিনের প্রশাসন রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন। বন্যার পাশাপাশি তারা ভয়ংকর ধসের আশঙ্কাও করছেন। পূর্ব চিনেও ঝড়ের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
বন্যাক্রান্ত এলাকায় মানুষ প্রচুর পরিমাণে খাবার মজুত করে রেখেছেন। ফলে অনেক দোকানেই খাবারের জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক দোকান থেকে তেল ও চাল উধাও হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Brics Summit: ইউক্রেন ও আফগানিস্তান সমস্যা নিয়ে আলোচনা, সমন্বয়ের উপর জোর মোদীর
সামাজিক মাধ্যমে একজন লিখেছেন, কেউ ভাবেননি, এত দ্রুত শহর ডুবে যাবে। তাই তারা সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত ছিলেন। অনেকের বাড়িতে উপযুক্ত পরিমাণে খাবার নেই। সাধারণত বর্ষার সময় মধ্য ও দক্ষিণ চিন ভাসে। কিন্তু এবার অস্বাভাবিক বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। সেজন্য নতুন নতুন এলাকা ভেসেছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)