রাজস্থানের জয়পুরের উদয়পুর। সেখানেই বসেছে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির। প্রায় ৫০০জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকছেন এই শিবিরে। ৭০টি জন সদস্যদের নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি করে গ্রুপ। মূলত সামাজিক পরিস্থিতি, রাজনীতি, সংগঠনের অবস্থা, অর্থনীতি, কৃষকদের অবস্থা, যুব সম্প্রদায় কী ভাবছে এমন নানা দিক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে চিন্তন শিবিরে। আগামী ১৫ মে কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে এনিয়ে রিপোর্ট পেশ করা হবে। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগে ১৯৯৮ সাল থেকে এই ধরনের চিন্তন শিবির আয়োজন করছে কংগ্রেস।
১৯৯৮ সালে পাঁচমারিতে
সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে মধ্যপ্রদেশের পাঁচমারিতে প্রথম চিন্তন শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি কংগ্রেসের সভাপতি পদে নিয়োজিত হন। আর ঠিক আজকের মতোই কংগ্রেস সেই সময় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল। সেই সময় কংগ্রেস নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জোট করে ভোটে লড়া হবে না। পার্টি তার নিজের ক্যারিশমাতেই নির্বাচনে লড়বে।
২০০৩ সালে সিমলায়
পাঁচমারির শিবিরের ঠিক ৫ বছর পরে সিমলায় চিন্তন শিবির হয়েছিল। তখন অবশ্য জোটের প্রয়োজন অনুভব করে কংগ্রেস। তখন প্রগতিশীল লোকজন, সংগঠনকে নিয়ে জোটের কথা ভাবতে শুরু করে কংগ্রেস। তারপর থেকে নতুন করে বিকাশ লাভ শুরু করে কংগ্রেস। সেই সময়ই MGNREGA, খাদ্য সুরক্ষার মতো স্কিম লাগু হয় ভারতে।
২০১৩ সালে জয়পুরে
২০১৪ সালের ভোটের আগে ফের চিন্তন শিবির হয় জয়পুরে। সেই সময় থেকেই রাহুল গান্ধী সামনের সারিতে আসতে শুরু করেন। দলের সহ সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। সেই সময় থেকেই যুব কংগ্রেস, ছাত্র পরিষদ এই শিবিরে অংশগ্রহণ করতে পারে।