ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও তা লাগামহীন নয়। মোটের উপর নির্দিষ্ট হারে সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়ছে। এমনকী সেই বৃদ্ধির হার আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো উন্নত দেশের থেকেও কম বলে জানাল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : Covid-19 Updates:লকডাউনে ২৪ গুণ বেড়েছে টেস্ট, আক্রান্ত বেড়েছে ১৬ গুণ-দেখুন কেন্দ্রের পরিসংখ্যান
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে গ্রাফের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন করোনা মোকাবিলায় গঠিত এমপাওয়ার্ড গ্রুপের সদস্যরা। সেখানে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ভারতে সংক্রমণ কমাতে সক্ষম হয়েছে। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া আটকানো গিয়েছে ও আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার গতিও কমেছে। করোনা মোকাবিলায় গঠিত দ্বিতীয় এমপাওয়ার্ড গ্রুপের চেয়্যারম্যান সি কে মিশ্র বলেন, 'কয়েকটি কৌশলের জন্য ভাইরাসের বৃদ্ধির হার মোটামুটি লিনিয়ার। অর্থাৎ গুণিতক হারে বাড়েনি। ওইসব কৌশলগুলি সংক্রমণকে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে আটকে রাখতে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে করোনা আক্রান্তদের পাঠানোর অভিসন্ধি পাকিস্তানের, বললেন ডিজিপি দিলবাগ সিং
গ্রাফের মাধ্যমে কেন্দ্র দাবি করে, এক মাসের আগে থেকে দেশে নমুনা পরীক্ষা ২৪ গুণ বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও সেই অনুপাতে পজিটিভ কেস বাড়েনি। অর্থাৎ এক মাস আগে পজিটিভ কেসের সঙ্গে নমুনা পরীক্ষার যে অনুপাত ছিল, তা এখনও মোটামুটি এক আছে। মিশ্র বলেন, 'এর মানে এটা স্থায়ী লাইন থাকছে।'
মিশ্র জানান, ভারতে এখনও পর্যন্ত পাঁচ লাখ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর প্রতি পাঁচ লাখ করোনা পরীক্ষায় কতজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, সেই হিসেব করলে ইতালি, আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশের থেকেও এগিয়ে আছে ভারত। শুধু দক্ষিণ কোরিয়া ভারতের থেকে এগিয়ে রয়েছে। সেজন্য করোনা আক্রান্ত ৪০০ ছোঁয়ার পর ওই দেশগুলি ও ভারতে কীভাবে সংক্রামিতের সংখ্যা বেড়েছে, তাও তুলে ধরে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : ইট দিয়ে সাদা গণ্ডি কী করে কাটলেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রশ্ন মুকুলের, জেনে নিন জবাবটা
পাশাপাশি ওই আধিকারিক জানান, করোনা মোকাবিলায় সরকারের দুটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। একটি হল যে করোনার চিকিৎসার জন্য মানুষকে হাসপাতালে যেতে হবে না। আর সামাজিক দূরত্ব, লকডাউন ও প্রবীণদের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব। আর দ্বিতীয় লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে তিনি জানান, করোনার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়া প্রতিটি ব্যক্তির জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা ও সুযোগ-সুবিধার বন্দোবস্ত করা। আর সেই কাজে কেন্দ্র অনেকটা অগ্রসর হয়েছে বলে জানান তিনি। পরিসংখ্যান ধরে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, গত এক মাসে দেশে করোনাভাইরাস হাসপাতাল ৩.৫ গুণ বেড়েছে। ওই সময়ের মধ্যে আইসোলেশন শয্যা সংখ্যা ৩.৬ গুণ বেড়েছে। এই সংখ্যাগুলি নিয়মিত বাড়ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।