পুরোদমে পরীক্ষা শুরুর আগেই র্যাপিড টেস্ট কিটে ত্রুটি মিলেছে। কিট সরবরাহকারী দুই চিনা সংস্থা সেগুলি ফিরিয়েও দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে কেন্দ্রকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে ধারণা তৈরি হয়েছিল। যদিও সোমবার বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্র জানাল, ত্রুটিপূর্ণ কিটের পিছনে এক টাকাও গচ্ছা যায়নি।
আরও পড়ুন : COVID-19 Lockdown 2.0 : ক্যানসার রোগী বোনকে বাঁচাতে ৪ দিনে ২৪০০ কিমি সফর
আজই রাজ্যগুলিকে দুটি চিনা সংস্থার (গুয়াংঝৌ ওন্ডফো বায়োটেক ও ঝুহাই লিভজন ডায়াগনস্টিক) র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। একইসঙ্গে সেই কিট ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : Covid-19- করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে শতাংশের হিসাবে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ
অথচ মাত্র ১২ দিন আগে (গত ১৬ এপ্রিল) চিন থেকে সেই কিট (৫.৫ লাখ) এসেছিল। ফলে বৃথা কারণে কেন্দ্রের টাকা নষ্ট হয়েছে বলে বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া পালনের (১০০ শতাংশ অগ্রিম অর্থ দিয়ে না কেনায়) ফলে ভারত সরকার এক টাকাও খরচ হবে না।'
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: 'তিনশো করোনামুক্ত জেলাকে তীর্থস্থান ভাবতে হবে' - একনজরে মোদীর গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে একই কথা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল। তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত পদক্ষেপ করে আইসিএমআর। বরাত বাতিল করে দেওয়া হয়। সংস্থাদুটিকে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। তাদের টাকা দেয়নি আইসিএমআরও।
আরও পড়ুন : Covid-19 Updates: করোনা কিট জোগানে দুর্নীতির অভিযোগ কংগ্রেসের, অস্বীকার ICMR-এর
পাশাপাশি র্যাপিড টেস্ট কিটে জোগানের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে কীভাবে সেগুলি কেনা হয়েছিল, সেই ব্যাখ্য়াও দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ৬০০ টাকা থেকে ১,২০৪ টাকার মধ্যে বিড হয়েছিল। তার মধ্যে সর্বনিম্ন অর্থাৎ ৬০০ টাকার বিড বেছে নেওয়া হয়েছিল।