চিড়িয়াখানায় জলহস্তির আক্রামণে মৃত্যু হল এক সাফাইকর্মীর। লখনউয়ের ওয়াজিদ আলি শাহ জুলজিক্যাল গার্ডেনের দুই চুক্তিভিত্তিক সাফাইকর্মী জলহস্তির ঘরে ঢোকেন। সেই সময় জলহস্তিটি তাদের আক্রমণ করে। এক জন কোনও রকমে জন্তুটির হাত থেকে পালাতে পারলেও অন্যজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
চিড়িয়াখানার পরিচালক অদিতি শর্মা বলেন, 'খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রতিদিনের মতো এদিনও সাফাই করার জন্য চিড়িয়াখানার জলহস্তির ঘরে ঢোকেন দুই সাফাইকর্মী। তাঁদের আক্রমণ করে জলহস্তিটি।'
জানা গিয়েছে, সুরজ নামে ওই সাফাইকর্মী, একজন সিনিয়র দেখভালকারীকে নিয়ে জলহস্তির ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। নিয়ম অনুযায়ী সাফাইয়ের সময় প্রাণীটি পিছনের দিকের ঘরে স্থানান্তরিত করা হয়। যেখান থেকে দর্শনার্থীরা প্রাণীটিকে দেখেন। পরিষ্কার করা না হওয়া পর্যন্ত প্রাণীটি ঘরে তালাবদ্ধ থাকে।
(পড়ুন। তামিলনাড়ুতে মন্দিরের তালা ভেঙে চুরি ১২ টি দেবদেবীর মূর্তি, উদ্ধার করল পুলিশ)
অদিতি শর্মা বলেন, 'জলহস্তির ঘরে তিনটি সেল আছে। দর্শকদের যেখানে থেকে তাকে দেখতে পায়, সেই সেলে তাকে রাখা হয়। সোমবার চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকে সে কারণ ওইদিনই পরিষ্কার করা হয়।'
জলহস্তির ঘরে যাঁরা ঢুকেছিলেন তাঁরা উভয়ই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে সাফাইের কাজ করছিলেন।
শর্মা বলেন,'আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে খাঁচাটি ঠিক মতো লক না করার কারণে এই বিপদ ঘটেছে। প্রাণীটি ঘুরে এসে দুজনকে আক্রমণ করে।'
জন্তুটি আক্রমণ করলে সিনিয়র দেখভালকারী রেলিংয়ের উপর উঠে তাঁর প্রাণ বাঁচান। জলহস্তীর আক্রমণের শিকার হন সাফাইকর্মী।
অ্যালার্ম বাজাতেই চিড়িয়াখানা অন্যান্য কর্মীরা ছুটে আসেন। অবিলম্বে কর্মীরা প্রাণীটিকে তালাবদ্ধ করেন এবং আহত সাফাইকর্মীকে উদ্ধার করেন। তাঁকে দ্রুত চিড়িয়াখানা ক্যাম্পাস থেকে ৫০০মিটার দূরে ডাঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার চলাকালীনই সুরজের মৃত্যু হয়।
শর্মা বলেন, 'সমস্ত সতর্কতা এবং যথাযথ প্রশিক্ষণ সত্ত্বেও এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হল।'কয়েক সপ্তাহ আগে কানপুরের অ্যালেন ফরেস্ট চিড়িয়াখানা থেকে জলহস্তীটিকে লখনউ চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল। এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।