বয়স্কতম ভারতীয় হিসেবে মহিলাদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে স্বপ্নের অভিষেক হয়েছে। সিলেটে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে তিন ওভারে ১৮ রান দিয়ে দু'উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচের শেষে ইন্টারভিউয়ের সময় আবেগে ভেসে গেলেন আশা শোভানা। আর তাঁর ইন্টারভিউয়ের সময় একেবারে ক্যামেরার কাছেই চলে আসে পুরো ভারতীয় দল। আশার জন্য গলা ফাটাতে থাকেন দলের প্রত্যেকে। কেউ শিস দিতে থাকেন। কেউ হাততালি দেন। যা দেখে একেবারে আবেগে ভেসে যান আশা। আর সেই মুহূর্তের কোলাজে আপ্লুত হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁরা প্রশংসা করেছেন সঞ্চালক অন্বেষা ঘোষেরও। নেটিজেনদের মতে, ৩৩ বছরের আশার মধ্যে থেকে আবেগটা বের করা আনার ক্ষেত্রে অন্বেষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আর তাঁকে দেখেও মনে হচ্ছিল যে আশার কৃতিত্বটা একেবারে নিজের হৃদয় থেকে অনুভব করতে পারছেন। সিলেটে আশার অভিষেক ম্যাচটা যেন তাঁর কাছেও একটা মাইলস্টোন ছিল।
সঞ্চালক: খেলাধুলোয় অনেক অনুপ্রেরণার কাহিনি থাকে। কিন্তু খুব কম কাহিনিই আশা শোভানার কাহিনিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারবে। আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেটে ভারতের বয়স্কতম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক হয়েছে আশার। তিন ওভারে ১৮ রানে দু'উইকেট নিয়েছেন। কী দুর্দান্ত একটা দিন, কী দুর্দান্ত একটা রাত। স্নায়ুর চাপ, উত্তেজনা এবং যাবতীয় অনুভূতির কথা বলুন।
আশা: নিজেকে অত্যন্ত আশীর্বাদধন্য মনে হচ্ছে (কথা শেষ করার আগে সতীর্থদের চিৎকারে আপ্লুত হয়ে যান, গর্বের হাসি দেখা যায় মুখে).....। আমার দেশ, আমাদের ভারতীয় দলে অংশ হতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত আশীর্বাদধন্য মনে হচ্ছে। এটা আমার কাছে সবকিছু। গত ১২-১৫ বছর ধরে এই মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।'
সঞ্চালক (অত্যন্ত আবেগের সঙ্গে): আমি এরকম ঘটনা খুব কম দেখেছি, যখন ইন্টারভিউ চলাকালীন পুরো দল ক্যামেরার কাছে চলে এসেছে এবং সাক্ষাৎকারদাতাকে এভাবে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে ও উৎসাহ প্রদান করছে। আপনার সতীর্থদের নিয়ে কী বলবেন? ওঁরা আপনার জীবনে এতটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আশা: '২০১২ সালে আমি সম্ভাব্য দলে এসেছিলাম। সেখান থেকে ২০২৪ সালে (অভিষেক হল)। আমার জন্য একটা দীর্ঘ যাত্রাপথ ছিল। আর শেষপর্যন্ত ভারতীয় দলের ক্যাপ পাওয়া.... (আবারও ভাষা হারিয়ে ফেলেন আশা, নিজের আনন্দ বহিঃপ্রকাশ করার কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না, ততক্ষণে মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে সতীর্থরা হাততালি দিতে থাকেন, দেন শিস, করতে থাকেন চিৎকার)।’
আশা: অবশ্যই, তুমি সেটা দেখতে পারছ (মুখে একরাশ হাসি নিয়ে সতীর্থদের দেখিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে থাকেন আশা)। আমার সতীর্থরা এতটাই সমর্থন করেছে, বিশেষত হ্যারি (হরমনপ্রীত কৌর), স্মৃতি (মন্ধানা) এবং সবাই ..... (সেটা বলেই ফের হেসে ফেলেন আসা, ততক্ষণে ভারতীয় সতীর্থরা আরও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে শুরু করে দেন, কেউ কলার তুলে লাফাতে থাকেন, কেউ হাত তুলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন, চিৎকার করতে থাকেন)। '
আশা: ‘সবাই এই কৃতিত্বের অধিকারী। ওরা এমন একটা পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে যে নিজেকে একদম হালকা মনে হয়। কোনও বাধা আছে বলে মনে হয় না। ওদের সঙ্গে কথা বলতে পারি। ওরা আমায় এসে বলছে যেন ওদের সঙ্গে কথা বলি। দুর্দান্ত।’