দীক্ষা ভরদ্বাজ
নির্বাচনী ইস্তেহারে একেবারে প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা ছোটায় রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু সেগুলি কি বাস্তবায়িত হয়? তবে এবার এনিয়ে বিশেষ প্রোফর্মার কথা উল্লেখ করল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধির মধ্য়েই এটি সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
কমিশন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এমসিসি অনুসারে রাজনৈতিক দলগুলিকে ও তাদের প্রার্থীদের নিজেদের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর কথা বলা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেখা যায় রাজনৈতিক দলগুলি এনিয়ে যে তথ্য দেয় তা সবটা স্পষ্ট নয়। ভোটাররাও এনিয়ে বিশেষ বুঝতেও পারেন না।
মুখ্য় নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমার ও নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডের সিদ্ধান্ত, এবার নির্বাচন কমিশন এনিয়ে আর নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকবে না।অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ও ভোটারদের মধ্যে স্বচ্ছতাকে নিশ্চিত করার জন্য় এবার রাজনৈতিক দলগুলির এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে আরও যথাযথভাবে জানানোর কথা বলছে কমিশন।
আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে অর্থনৈতিক ব্যাপারগুলির সঙ্গে তার কতটা সামঞ্জস্য রয়েছে এবার সেব্যাপারেও প্রামাণ্য তথ্য দিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। এনিয়ে এবার একটি প্রস্তাবিত রদবদল আনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।
দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে এই প্রতিশ্রুতি কীভাবে পালন করা সম্ভব, অর্থনৈতিক দিক থেকে তার ব্যাখ্যা হাজির করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। এমনটাই প্রস্তাব দিচ্ছে কমিশন।
এদিকে এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে কিছুটা হলেও সন্দিহান কমিশন। তবে প্রতিশ্রুতিগুলি বাস্তবে রূপায়িত করতে গেলে অর্থনৈতিক যোগান কোথা থেকে আসবে সেব্যাপারে সুস্থ বিতর্কও কাম্য। এমনটাই মতামত দিয়েছে কমিশন।