ভারতের ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলি বিশ্বমঞ্চে নিজেদের ছাপ ফেলেছে। কানাডা ভিত্তিক সংস্থা ইটিসি গ্রুপের এক রিপোর্টে এমনই দাবি করা হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের প্রথম দশটি ফুড ডেলিভারি সংস্থার মধ্যে রয়েছে ভারতের সুইগি এবং জোমাটো। তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে সুইগি, দশম স্থানে রয়েছে জোমাটো।
এদিকে তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চিনের ‘মেইতুয়ান’। তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাজ্যের সংস্থা ‘ডেলিভারু’। এরপরই তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘উবার ইটস’, চিনের ‘এলে.মি’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডোর ড্যাশ’। প্রতিবেদন অনুসারে, এই ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মগুলি গ্রাহকদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসাগুলির সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করছে। পাশাপাশি অনেক বেকারদেরও কর্মসংস্থান ঘটছে এতে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম থেকেই ফুড ডেলিভারি সংস্থার মূল বিষয় খাদ্য নয় বরং ই-কমার্স, লজিস্টিক ছিল। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়, যত দিন যাচ্ছে, ততই এই খাতে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। যদিও ডেলিভারি খাতে কর্মচারীদের উপর ‘চাপ’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টে। কর্মচারীরা কাজ করতে গিয়ে নিজেদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেন বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এবং পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, কর্মচারীদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে সংস্থাগুলি।
এদিকে ইতিমধ্যেই নিউ ইয়র্কে ফুড ডেলিভারি খাতে কর্মরত কর্মচারীদের স্বার্থ সুরক্থি করতে ন্যূনতম বেতন সহ আরও বেশ কিছু নীতি আনা হয়েছে। ইউরোপিয়ান কমিশনও কর্মচারীদের কাজের পরিবেশের উন্নতির কথা বিবেচনা করে নীতি নির্ধারণের কথা ভাবছে। এদিকে ভারতেও সুইগি, জোমাটোর কর্মীদের উপর ‘চাপ’ নিয়ে সম্প্রতি অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সময়মতো শহরের যানজট কাটিয়ে এই ডেলিভারি পার্টনাররা যে ভাবে পরিষেবা দিয়ে থাকেন, তা যথাযত ভাবে দাম পায় না কর্পোরেট বিশ্বে।