মাত্র তিন সপ্তাহের গম পড়ে, খাদ্য সংকটের মুখে পাকিস্তান
অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব এবার খাদ্যে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আর মাত্র ৩ সপ্তাহের গম মজুত রয়েছে।
রমজান মাস উপলক্ষে এই সময়ে অনেকেই উপোস রাখেন। কিন্তু এই সময়তেই পাকিস্তানে গমের দাম সর্বোচ্চ। অর্থাত্ চাহিদা কম হলেও, জোগান এতটাই কম যে দাম বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।
এ বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সদ্য নিয়োজিত অর্থমন্ত্রী শৌকত তারিন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের প্রায় ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন গমের ভান্ডার প্রয়োজন।
পাকিস্তানি সংবাদপত্র এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর রিপোর্ট অনুযায়ীএ বিষয়ে সেদেশের দাম পর্যবেক্ষক কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়েছে। সেখানে তারিনকে বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে অবগত করেন আধিকারিকরা। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন গম মজুত রয়েছে বলে জানান তাঁরা। এই পরিমাণ গমে মাত্র আড়াই থেকে তিন সপ্তাহ চলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে দেশের প্রতিটি এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। দ্রুত গম ও চিনি সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তবে, শুধুমাত্র দেশের আভ্যন্তরীণ উত্পাদনে এই তাত্ক্ষণিক চাহিদা পূরণ করা বেশ কঠিন। ফলে বৈদেশিক চুক্তিভিত্তিক ভান্ডার থেকেও গম কিনতে হবে পাকিস্তানকে।
পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তাঁদের দাবি, ইমরান খান জমানায় সমস্ত খাদ্যদ্রব্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। সরকারের ভুল খাদ্যনীতি ও কৃষির উন্নতিতে অনীহাকে এর জন্য দায়ী করেছেন তাঁরা।