জি ২০ সম্মেলনে এবার সঙ্গীত পরিবেশন করবেন ৭৮ শিল্পী। দেশের নানা প্রান্ত থেকে গানের সম্ভার নিয়ে উটস্থিত থাকবেন তাঁরা। ৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবার রাতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানেই উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও অতিথিরা। ওই নৈশভোজের সময়ই তিন ঘন্টা ধরে পরিবেশিত হবে ভারতের বিভিন্ন ধারার সঙ্গীত। হিন্দুস্তানি সঙ্গীত থেকে কর্ণাটকী, ক্লাসিকাল সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে থাকবে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রসঙ্গীত।
(আরও পড়ুন: শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে মিশে গেল জ্যাজ, পপ! জ্ঞান মঞ্চ সাক্ষী থাকল অন্য গানের)
সব মিলিয়ে তিন ঘন্টা ধরে এই সঙ্গীত পরিবশন করার পরিকল্পনা টরা হয়েছে। জি ২০ সম্মেলনের আয়োজনে থাকা আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মোট ৭৮ শিল্পী উপস্থিত থাকবেন অনুষ্ঠানে। এঁদের মধ্যে ৩৪ জন পরিবেশন করবেন হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, ১৮ জন পরিবেশন করবেন কর্ণাটকী সঙ্গীত। অন্যদিকে ৪০ জন শিল্পী রয়েছেন যন্ত্রসঙ্গীতের দায়িত্বে। তিন ঘন্টা ধরে চলবে এই সঙ্গীত পরিবেশন। এর মহড়া ৩১ অগস্ট থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০০ জন বিদেশি অতিথি অভ্যাগতর সামনে পরিবেশিত হবে ভারতের নানা ধারার গান।
(আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিশেষ ছাড় ইন্ডিগোর! কবে পর্যন্ত চলবে জেনে নিন)
প্রসঙ্গত, সঙ্গীতশিল্পীদের দলে রয়েছেন নানা বয়সের শিল্পীরা। সবচেয়ে কনিষ্ঠ শিল্পী ছয় বছর বয়সী রক্ষিতা ভায়োলিন বাজাবেন। অন্যদিকে সবচেয়ে বরিষ্ঠ শিল্পী ৫৬ বছর বয়সী সোনু দাভালু মাসে বাজবেন ধাঙ্গালি। সব মিলিয়ে এই দলে রয়েছেন ১১ খুদে শিল্পী, ১৩ নারী শিল্পী ও ২৬ পুরুষ শিল্পী। অন্যদিকে ৬ বিশেষভাবে সক্ষম শিল্পী ও ২২ গানের বিষয়ে দক্ষ ব্যক্তিরাও রয়েছেন এই দলে।
এই দিনের অনুষ্ঠানে একদিকে যেমন রয়েছে ভারতের বিভিন্ন ধারার সঙ্গীত। তেমনই আরেকদিকে রয়েছে ২৬ বিরল যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন। বিদেশি অতিথিদের সামনে পরিবেশিত সেই যন্ত্রসঙ্গীত শুনবে সারা দেশ। বিরল যন্ত্রসঙ্গীতের মধ্যে রয়েছে ভাপং যাকে কথা বলা ঢাকের সঙ্গে তুলনা করা হয়। অন্যদিকে থাকে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার বিরল যন্ত্র ধাঙ্গালি। এটি তৈরি করা হয় দুধি ভোপলা দিয়ে। এছাড়াও উত্তর ভারতীয় যন্ত্রের মধ্যে থাকছে দিলরুবা থেকে জলতরঙ্গের মতো যন্ত্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠান।