পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইন, ১৯৬০ অনুযায়ী, একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি গবাদি পশুর অন্তর্বর্তীকালীন হেফাজতের দাবি জানাতে পারেন। এমনই জানাল গৌহাটি হাই কোর্ট। বিচারপতি রবিন ফুকনের একক বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী গতকাল এই পর্যবেক্ষণ করে। আদালত বলে, ‘পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইনের ধারা ৩৫(২)-এর অধীনে ম্যাজিস্ট্রেট নিজের বিচক্ষণতার মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত পশুর অন্তর্বর্তীকালীন হেফাজত পিঞ্জরাপোলের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন। কিন্তু তিনি তা করতে বাদ্ধ নন... যদি পশুর মালিক হেফাজতের দাবি জানায়, সেই ক্ষেত্রে পিঞ্জরাপোলকে অগ্রাধিকার দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।’
উল্লেখ্য, অসমে ৮টি ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ৬২টি গরু উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে চলা মামলার শুনানি চলাকালীনই বাদেয়াপ্ত পশুর হেফাজত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাকা চেকিংয়ের মাধ্যমে আটটি ট্রাক আটকেছিল পুলিশ। সেই ট্রাকগুলিতে কাঠের গুঁড়ির মধ্যে গরু লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা চলছিল। যানবাহন এবং গবাদি পশুগুলি এরপর বাজেয়াপ্ত করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪২৯, ৫১১ ধারা এবং পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইনের ১১(এ), ১১(ডি) এবং ১১(এইচ)-এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল৷
এরপরই বাজেয়াপ্ত গবাদিপশুগুলিকে পরে পিটিশন-ফাউন্ডেশনের গোশালায় স্থানান্তর করা হয়। বিচার মুলতুবি থাকাকালীন, মালিক এবং গোশালা উভয়ই গবাদি পশুগুলির হেফাজতের জন্য আবেদন জানায়। পরে সাব-ডিভিশনাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ দেন, বাজেয়াপ্ত গবাদি পশুগুলির অন্তর্বর্তীকালীন হেফাজত পাবেন মালিক। সেই আদেশটির বিরোধিতা করেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় গোশালা কর্তৃপক্ষ। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয় আবেদনে।