কয়েক মাসের নিম্নমুখী ধারা কাটিয়ে আবারও বাড়তে শুরু করছে সোনার দাম। গত ১৫ দিনে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ছ'শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬,৬৪৮ টাকা। যা বিয়ের মরশুমে মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ (সেকেন্ড ওয়েভ) আছড়ে পড়েছে। তারইমধ্যে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি আরও প্যাকেজ ঘোষণা করছে। অর্থাৎ অর্থনীতিতে অর্থের জোগান বেড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সবকিছু স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বাড়বে সোনার দাম। লগ্নিকারী উপদেষ্টা সংস্থা মিলউড কেন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নিশ ভাট জানিয়েছেন, উৎসব এবং বিয়ের মরশুমের জন্য ভারতের খুচরো বাজারে সোনার চাহিদা বাড়ছে। বাড়ছে কেনাকাটার পরিমাণ। যা সোনার দামে প্রভাব ফেলছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি এলে সোনার দাম কমবে। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউের (সেকেন্ড ওয়েভ) ফলে যে ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা দীর্ঘকালীন সময় প্রভাব ফেলবে সোনার দামে। এখনই সোনার দাম নীচের দিকে নামার আশা ছেড়ে দেওয়াই ভালো বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এমনিতে গত বছর অগস্টে রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল ১০ গ্রাম সোনা। তারপর থেকে কমেছে হলুদ ধাতুর দর। চলতি মাসের শুরুতে তো সোনার দাম প্রায় এক বছরের সর্বনিম্ন স্তরে (১০ গ্রামের দাম ৪৪,১০০ টাকা) পৌঁছে গিয়েছিল। সেই নিম্নমুখী প্রবণতা কাটিয়ে চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৩,০০০ টাকা বেড়েছে। তার ফলে রেকর্ড দরের তুলনায় এখনও ৯,৫০০ টাকা কম আছে সোনার দর।
বিশ্ব বাজারেও বেড়েছে হলুদ ধাতুর দাম। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম চার শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৭৮১ ডলার। মোতিয়াল ওসওয়ালের ত্রৈমাসিক রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা মহামারীর ফলে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির বাজারে নগদের পরিমাণ বাড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে যোগ হচ্ছে আঞ্চলিক টানাপোড়েন, আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্যিক টানাপোড়েন এবং বিশ্ব বাজারে অনিশ্চয়তার ফলে দাম বাড়ছে সোনার।