আন্তর্জাতিক বাজারে দরের বিশেষ ওঠাপড়া না থাকার দরুণ শুক্রবার ভারতে সোনার দামে পতন দেখা দিল। এ দিন সকালে এমসিএক্স সূচকে ০.২৫% পতনের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়াল ৫০,৭৭৫ টাকা। এই নিয়ে গত তিন দিনে উপর্যুপরি দুই দিন সোনার দাম পড়ল।
মঙ্গলবার ১০ গ্রামের হিসেবে সোনার দাম ১,২০০ টাকা নামার পরে বৃহস্পতিপার ০.৮৫% বৃদ্ধি পায় সোনার দর। গত অগস্ট মাসের ৫৬,২০০ টাকা দরের চেয়ে এখনও প্রতি ১০ গ্রামে প্রায় ৬,০০০ কম যাচ্ছে সোনার দাম।
আন্তর্জাতিক বাজারে এ দিন সামান্য নিম্নগতি দেখা দিয়েছে সোনার দরে। এর অন্যতম কারণ, ডলারের দাম চাঙ্গা হওয়া। তবে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণ করার জেরে মার্কিন অর্থনীতিতে সদর্থক সংস্কার নীতির সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় সোনার বাজারে ঘাটতির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
এ দিন স্পট গোল্ড সূচকে ০.১% পতনের ফলে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৯১১.৩২ ডলার। সপ্তাহের হিসাবে অবশ্য সোনার দর ০.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাশাপাশি, এ দিন আন্তর্জাতিক সূচকে ০.২% পতন হয়েছে রুপোর দরেও। এর জেরে প্রতি আউন্স রুপোর দাম যাচ্ছে ২৭.০৫ ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার দামে প্রভাব ফেলেছে মার্কিন বন্ডের উত্তরোত্তর দামচড়ার প্রবণতা। এ ছাড়া, কোভিড ভ্যাক্সিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রগতিও বিনিয়োগকারীদের মনে আশার সঞ্চার করেছে।
তবে এত কিছুসত্ত্বেও ইটিএফ লগ্নিকারীরা কিন্তু এখনও সক্রিয় পদক্ষেপ করতে নারাজ। বৃহস্পতিবার বিশ্বের বৃহত্তম ইটিএফ এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্টে মজুত সোনার পরিমাণ ০.৪% কমে এসে দাঁড়ায় ১,১৮২.১১ টন।
কোটাক সিকিউরিটিজ-এর তরফে বলা হয়েছে, ভ্যাকিসন উৎপাদন ঘিরে আশা জাগার ফলে বাজারে সোনার দামে আপাতত কিছু কাল অস্থিরতা বজায় থাকবে। দাম পড়লে তবেই বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থা।