সুতীর্থ পত্রনবীশ
তাইওয়ানের সঙ্গে বহুদিন ধরেই চিনের সম্পর্কের অবনতি দেখা যেতে শুরু করেছিল। এবার মার্কিনি কূটনীতিবিদ ন্যান্সি পালোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফর ঘিরে ফের একবার দুই এলাকার মধ্যে চড়ল কূটনৈতিক পারদ। জানা গিয়েছে, ন্যান্সি পালোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফরের আগে চিন তার সীমান্তে তাক করে রাখতে শুরু করেছে যুদ্ধবিমান।
উল্লেখ্য, তাইওয়ানকে চিন নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। আর সেই দেশ স্বশাসন কায়েম রেখেছে বলে দাবি করে। আর এই তাইওয়ানের সঙ্গে এই ইস্যুতেই সংঘাত চিনের। সেই জায়গা থেকে মার্কিন কূটনীতিক ন্যান্সি পালোসি তাইওয়ান সফরে গেলে তা চিন যে ভালভাবে নেবে না তা বলাই বাহুল্য। আর এই ইস্যুতেই ফের একহার দুই দেশের মধ্যে পারদ চড়তে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি যে পালোসি কবে তাইওয়ান যাচ্ছেন। তবে মনে করা হচ্ছিল যে মঙ্গল থেকে বুধবারের মধ্যেই দ্বীপ ভূখণ্ড তাইওয়ানে পা রাখবেন তিনি। রয়টার্স জানাচ্ছে, বহু চিনা জাহাজ তাইওয়ানের সীমান্তের দিকে এগিয়ে রয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই স্ট্র্র্যাটেজি মূলত একটি কূটনৈতিক চাপ। খারগাঁওতে সাম্প্রদায়িক হিংসার মাস্টারমাইন্ড কংগ্রেস কাউন্সিলার-পুত্র
চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই পালোসির সফর ঘিরে নানান খবর ট্রেন্ড করছে। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলছেন, যদি পালোসি সিদ্ধান্ত নেন তাহলেই তিনি তাইওয়ান যাচ্ছেন। একই সঙ্গে সতর্কতার সুরে ব্লিনকেন বলছেন, 'এই ঘটনায় যদি কোনও উত্তেজনা বাড়ে তাহলে দোষী বেজিংই থাকবে।' বিশেষজ্ঞ জন কিরবি বলছেন, 'দীর্ঘস্থায়ী মার্কিন নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সম্ভাব্য সফরকে বেইজিং কোনো ধরনের সংকট বা সংঘাতে পরিণত করার বা তাইওয়ান প্রণালীতে বা তার আশেপাশে আগ্রাসী সামরিক তৎপরতা বাড়ানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করার কোনো কারণ নেই।' এদিকে বাইডেন প্রশাসনও সাফ বার্তায় জানিয়েছে চিন কোনও প্রকারের সংঘাতের উদ্যোগ নিলে তা ওয়াশিংটন ভালভাবে নেবে না।