কর্নাটকের বিভিন্ন কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মামলা গড়িয়েছে আদালতে। এই পরিস্থিতিতে এবার ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের এক কলেজে হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি কার হল। তবে শুধু হিজাব নয়, গেরুয়া স্কার্ফ বা ধর্মীয় কোনও পোশাক পরা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ডিএস কলেজ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, কর্নাটকের হিজাব বিতর্কের মাঝেই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন কয়েকদিন আগেই। আর এরপরই এবার আলিগড়েরই এক কেলেজে নিষিদ্ধ করা হল হিজাব। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্ধারিত ইউনিফর্ম ছাড়া অন্য কিছু পরে ছাত্রদের কলেজে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে আলিগড়ের ডিএস কলেজ। কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ রাজ কুমার ভার্মা বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের মুখ ঢাকা অবস্থায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেব না। ছাত্রদের কলেজ প্রাঙ্গনে গেরুয়া রঙের চুরি বা হিজাব পরতে দেওয়া হয় না।’
উল্লেখ্য, কর্নাটকের ঘটনায় রাস্তায় নেমেছিলেন আলিগড় পড়ুয়ারা। হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আলিগড়ের পড়ুয়ারা কর্নাটকের বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে স্লোগান তুলেছিলেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে হিজাব পরিহিত কিছু মুসলিম মেয়েকে কর্নাটকের উদুপির একটি সরকারি কলেজে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে একাধিক কলেজে সেরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গত কয়েকদিনে সেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার সকালেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উদুপির মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল কলেজে। গেরুয়া স্কার্ফ ও পাগড়ি পরে কলেজের বাইরে জড়ো হন একদল পড়ুয়া। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। হিজাব পরা ছাত্রীদের দাবি, অধ্যক্ষ ক্লাসে ঢুকতে দেননি। একাধিক কলেজে সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিক্ষোভ, পালটা বিক্ষোভ হয়। তারইমধ্যে একগুচ্ছ আবেদন দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাটি এখন বিচারাধীন। এদিকে এই ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও চরমে। ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে এই ইস্যু তুলে একে অপরকে তোপ দেগেছে শাসক ও বিরোধী দল।