মৌলিক পাঠক
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা। মৌরবির ওই ঝুলন্ত ব্রিজে তখন অন্তত ৪০০জন চেপে রয়েছেন। আচমকাই বিপর্যয়। বাঁচার জন্য আর্তনাদ। মচ্ছু নদী তখন মৃত্যুপুরী। কে কাকে বাঁচাবে। আর তখনই ছুটে এলেন একদল যুবক। তাদের মধ্য়ে অনেকেই নির্মীয়মাণ স্বামীনারায়ণ মন্দিরে কাজ করছিলেন। আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন তাঁরা। উদ্ধারে নামতে দুবার ভাবেননি তাঁরা।
স্থানীয় কাঠমিস্ত্রি পঙ্কজ কুমার জানিয়েছেন, বাড়ির কাছে বসেছিলাম। বন্ধু বলছিল ব্রিজে আজ প্রচুর লোক চেপেছে। আচমকাই শুনলাম তীব্র শব্দ। এরপরই ব্রিজের দিকে ছুটতে শুরু করি।
গিয়ে দেখলাম অনেকে ঝুলছে। সকলেই বাঁচার চেষ্টা করছেন। বেনারসের নির্মাণ শ্রমিক অজয় কুমার বলেন, দেখছিলাম কয়েকজন ব্রিজের উপর উঠে খুব নাড়াচ্ছে। তারপরই ভয়াবহ ঘটনা। আমরা অন্তত ৩০জনকে উদ্ধার করেছি।
পুলিশ, উদ্ধারকারী টিম আসে আধঘণ্টা বাদে। ততক্ষণে চোখের সামনে দেখলাম তিনজন শিশু মারা গিয়েছে। একজন শিশুকে অ্য়াম্বুল্যান্সে মুখে মুখ রেখে শ্বাস দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করি।
রাহুল কুমার নামে অপর এক যুবক বলেন, সারারাত ঘুমোতে পারিনি। উদ্ধারে নেমে জ্বর এসে গেল। রমেশ জিলারিয়া নামে অপর বাসিন্দা বলেন, আমি দড়ি নিয়ে ছুটে যাই। কিন্তু ভাইঝিকে বাঁচাতে পারলাম না। তবে আরও ৮-১০জনকে বাঁচাতে পেরেছি।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন, নদীতে নেমে পড়েছিলাম আমরা। এরপর একে একে উদ্ধার করি।
এদিকে মালবাজারেও হরপা বানের পরে ভেসে যাওয়া বাসিন্দাদের উদ্ধারে এভাবেই এগিয়ে এসেছিলেন স্থানীয় যুবকরা। গুজরাটেও একই ছবি।