বিহারে মদ নিষিদ্ধ করার আগে কি কোনও সমীক্ষা হয়েছিল। এই আইন প্রণয়নের পর কী প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়ে কী ভাবা হয়েছিল। সম্প্রতি বিহার সরকারের কাছে এই প্রশ্নই তুলল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৮ মার্চের মধ্যে বিহার সরকারকে এই বিষয়ে জানাতে হবে।
বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল ও বিচারপতি এম এম সুন্দ্রেশের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি বেঞ্চেই বিহার প্রোহিবিশন অ্যান্ড এক্সাইস অ্যাক্ট সংক্রান্ত এই আইনটি নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। ফলে এখন একটা বিষয় জানা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে যে আইন প্রণয়নের আগে বিহার সরকার কি সত্যিই কোনও সমীক্ষা চালিয়েছিল। আইনগত ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত কী কোনও পরিবর্তন করা হয়েছিল। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, পাটনা হাই কোর্টে ২৬ জন বিচারপতির মধ্যে ১৬ জন বিচারপতিই এই সংক্রান্ত মামলার বিচার করতে ব্যস্ত। শীর্ষ আদালত মনে করছে, ওই আইন নিষিদ্ধ করার আগে বিহার সরকার কী পুলিশ, জেল, আদালত সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কী প্রভাব পড়তে পারে, সেই বিষয়ে কিছু ভেবেছে।
এই প্রসঙ্গে বিহারের আবগারি দফতরের মন্ত্রী সুনীল কুমার জানান, আদালতের রায় পুরোপুরি দেখে নিয়েই সরকারের তরফে এই বিষয়ে জানানো হবে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বিহারে মদ উৎপাদন ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই আইনে যারা দোষী সাব্যস্ত হন, তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ারও প্রতিবিধান রয়েছে। পাশাপাশি যেখান থেকে মদ পাওয়া যাবে, সেইখানকার বাড়ি, গাড়ি, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও অধিকার করেছে আইনি সংস্থানে। পরে অবশ্য ২০১৮ সালের জুলাইতে এই আইনের কিছু অংশের সংশোধনী আনা হয়। সংশোধিত আইনে অভিযুক্তদের কারাদণ্ডের সময়সীমা ১০ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছর ও জরিমানার পরিমাণ ১০ লাখ থেকে কমিয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়। বিহার সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর অক্টোবর পর্যন্ত এই সংক্রান্ত ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৭০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৮৫৫ জনকে। হাই কোর্ট বা নিম্ন আদালতে ২০ হাজার এই সংক্রান্ত জামিনের আবেদন পড়ে রয়েছে।