পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বাবাকে। সেই হত্যাকারী জঙ্গিদের চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন কাশ্মীরি পণ্ডিত মাখনলাল বিন্দ্রুর মেয়ে শ্রদ্ধা। বললেন, ‘সামনে আয় (আজা যা সামনে)। যদি এতই দম থাকে, আয় আমার সামনে।’
বুধবার সকালে শ্রীনগরে শ্রদ্ধা জানান, ‘আমি শূন্য থেকে শুরু করেছি। আমার বাবা সাইকেল নিয়ে (জীবন) শুরু করেছিলেন। আমার ভাই বিখ্যাত ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ। আমার মা দোকানে বসেন। এভাবেই আমাদের তৈরি করেছেন আমার কাশ্মীরি পন্ডিত বাবা মাখনলাল বিন্দ্রু। উনি কখনও মৃত্যুবরণ করবেন না। তাঁর শরীরটাকে শুধু হত্যা করতে পারবে। আমি হিন্দু। আমি কোরান পড়েছি। কোরান বলেছে যে শরীরের এই যে কাঠামো আছে, তা পালটে যাবে। কিন্তু মানুষের যে আত্মা, তা কোথাও যাবে না। মাখনলাল বিন্দ্রু সেভাবেই বেঁচে থাকবেন।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্রীনগরের ইকবাল পার্কের কাছে নিজের ওষুধ দোকানেই ছিলেন ৬৮ বছরের মাখনলাল। পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, জঙ্গিরাই বিন্দ্রুকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। শ্রীনগরের বিখ্যাত ওষুধ দোকান বিন্দ্রু মেডিকেটের মালিক ছিলেন মাখনলাল।
বাবার মৃত্যুর খবর ভেঙে পড়লেও পালটা জঙ্গিদের চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন অধ্যাপক শ্রদ্ধা। তিনি বলেন, ‘কাজ করার সময় আমার বাবাকে যে গুলি করেছে, তোমার সাহস থাকলে সামনে এসে দেখাও। একটি তর্ক-বিতর্ক হোক। আমাদের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্ক কর। তখন আমার দেখব যে তুমি কে। যখন একটা শব্দও বলতে পারবে না, নেতিয়ে পড়ে যাবে, তখন বুঝতে পারবে যে শুধু পাথরই ছুড়তে পার। পিছন থেকে শুধু গুলিই চালাতে পার তোমরা। কী করতে পার তোমরা? একটা শরীরকেই খতম করে দিয়েছ তোমরা। ওই শরীর যাদের জন্ম দিয়েছে, সে আমি। এটাই আমি। আমার বাবার মেয়ে। সামনে আয় (আজা যা সামনে)। যদি এতই দম থাকে, আয় আমার সামনে। আমার সঙ্গে কথা বল।’