রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় বিতর্কের মুখে পড়ে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করল পাকিস্তান সরকার। ইমরান খান সরকারের তরফে দাবি করা হল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাতে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। একই সুরে স্থানীয় পুলিশের তরফেও দাবি করা হয়েছে, এক নাগরিকের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকার বা কোনও প্রতিষ্ঠান সেই অভিযোগ দায়ের করেনি।
'মনোনীত' প্রধানমন্ত্রী ইমরানের ইস্তফা এবং দেশের রাজনীতিতে সেনার হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি জানিয়েছে কয়েক সপ্তাহে আগে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই আন্দোলন আরও জোরদার করতে আগামী ১৬ অক্টোবর বিরোধী দলগুলি একসঙ্গে মিছিল করবে। তার আগে সোমবার নওয়াজ, তাঁর দলের সদস্য, মেয়ে মারইয়াম নওয়াজ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসি এবং পাকিস্তান সেনার তিন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয়েছে।
পরে সোমবার রাতের দিকে লাহোর পুলিশের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই মামলাটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন জল্পনা ছড়িয়েছে। আদতে বাদার রশিদ নামে এক নাগরিকের অনুরোধে সেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ যদিও তার একদিন আগেই ‘রাষ্ট্র ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানুষকে প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগে নওয়াজের জামাই মহম্মদ সাফদারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী দাবি করেন, নওয়াজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার ক্ষেত্রে সরকারের কোনও হাত নেই। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘(লাহোরে) নওয়াজ শরিজ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, সেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নজরে আনার পর তিনি জানান, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।’ এমনকী ইমরান নাকি ‘তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’