শিশির গুপ্ত
জুন মাসের শেষ সপ্তাহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছ দিয়ে উড়ে গিয়েছিল চিনা যুদ্ধবিমান। এই বিষয়টি এবার উত্থাপিত হবে ভারত-চিন সেনা পর্যায়ের বৈঠকে। সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছ দিয়ে উড়ে গিয়েছিল চিনা সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান। রিপোর্ট অনুযায়ী, জুন মাসের শেষ সপ্তাহে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, চিনা বিমান ভারতীয় আকাশসীমার কাছে চলে আসার পর ভারতের তরফে ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, প্রথা অনুযায়ী, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত কোনও দেশই সামরিক বায়ুযান ওড়ায় না। এই অঞ্চলটি ‘নো ফ্লাই জোন’।
প্রসঙ্গত, রবিবার সেনার কোর কমান্ডার পর্যায়ের ষোড়োশতম বৈঠকে চিনের লালফৌজের মুখোমুখি হতে পারে ভারতীয় সেনা। উল্লেখ্য, দুই পক্ষের মধ্যে শেষ বৈঠক হয়েছিল ৪ মাস আগে। গালওয়ান সংঘর্ষের পর দুই দেশের বৈঠকে এতদিনের ফারাক ছিল না এর আগে। তবে শেষ পর্যন্ত দুই দেশ ফের একবার বসছে আলোচনার টেবিলে। এবং সেখানেই ভারতের তরফে চিনা যুদ্ধবিমানের প্রসঙ্গটি উত্থাপিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
জুন মাসের ঠিক কোন তারিখ চিনা যুদ্ধবিমান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চলে এসেছিল, তা অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি ভারতীয় সেনার তরফে। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, জুন মাসের শেষ সপ্তাহের কোনও একদিন ভারতীয় সময় ভোর চারটের সময় ঘটনাটি ঘটেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন সেনাকর্মীদের চোখে পড়ে চিনা বিমানটি। বায়ুসেনার রাডারেও ফুটে ওঠে চিনা বিমানটি। ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা দেখা দিতেই ভারতীয় বায়ুসেনা তৎপর হয়ে পড়ে। এরপর যথাযথ পদক্ষেপ করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চিনা সেনা পূর্ব লাদাখ সীমান্তের কাছেই সামরিক অনুশীলন করছে। সেখানে পিপিলস লিবারেশন আর্মির যুদ্ধবিমান এবং এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও এই অনুশীলনের অংশ। ভারতীয় ভূখণ্ডের খুব কাছেই চিনা সামরিক বাহিনীর প্রচুর যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন মোতায়েন রয়েছে এই অনুশীলন উপলক্ষে। সেই অনুশীলন চলাকালীনই চিনা যুদ্ধবিমান ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে চলেছিল বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ২০২০ সালে এরমই যুদ্ধ অনুশীলনের সময় চিনা সেনা ভারতের দিকে এগোলে সংঘর্ষ বেঁধেছিল দুই দেশের সেনাকর্মীদের মধ্যে।