উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের তিলহর এলাকায় বসবাসকারী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মীর মেয়ের ধর্মান্তরিত হওয়া নিয়ে গত বেশ কয়েকদিন ধরে তোলপাড় হয় উত্তরপ্রদেশ। তবে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করল যে আয়েশা ওরফে রানি কি আসলে জেনে বুঝে ধর্মান্তরিত হয়েছেন? আয়েশিার বাবা-মা বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন? এই মামলার প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্টে জমা দেওয়া এক হলফনামায় এই বিষয়ে স্পষ্ট করে নিজের বক্তব্য পেশ করেন আয়েশা।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ এটিএস ধর্মা্তরণের ঘটনায় ওমর গৌতম এবং কাজি জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া কাগজ পত্র থেকে জানা যায় যে প্রাক্তন সেনা কর্মীর মেয়ে রানি ধর্মান্তরিত হয়ে নিজের নাম আয়েশা রেখেছেন। এরপরই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল যে রানিকে ফাঁসিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে রানি আদালতে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এবং সুরক্ষা চান, তাতেই সন্দেহ হয়। তবে সেনা কর্মী নিজে বলছেন যে তাঁর মেয়েকে কেই ফাঁসিয়েছেন। তবে আয়েশা দাবি করছেন যে তিনি দুবাইতে চাকরি পেতে ধর্মান্তরিত হয়েছেন।
গত ১৯ মে পুণের এক ইঞ্জিনিয়াররে সঙ্গে ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়া হয় আয়েশার। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই ধর্ম বদল করেন আয়েশা। এপর মামলা আদালতে উঠলে আয়েশার বাবা দাবি করেন যে তাঁর মেয়েকে তিনি হিন্দু ধর্মে ফেরাতে চান। তবে আয়েশা নিজে হিন্দু ধর্মে ফিরতে ইচ্ছুক নয় বলে আদালতে হলফনামায় জানিয়েছেন।
এদিকে হিন্দু ছেলের সঙ্গে বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় কেন আয়েশা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন, তা নিয়ে ধন্দে সবাই। ১৯ তারিখ বিয়ের পর ২৭ মে দিল্লিতে ইসলামিক সেন্টারে গিয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর ১৯ জুন তিলহরে ফেরেন আয়েশা।