লিঙ্গায়েত নেতা এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার, যিনি ২০২৩ সালে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ফের তিনি ফিরলেন বিজেপিতেই। সেই সময় তিনি টিকিট পাননি। এর জেরেই অভিমানে দল ছেড়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্রর উপস্থিতিতে তাঁকে দলে স্বাগত জানানো হয়। জগদীশ শেট্টার - যাঁর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে ছিল এবং বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর শেষ মুহূর্তের দলবদল বেশ চমকপ্রদ ছিল। এদিকে কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছেন, অনেক বিজেপি নেতা মরিয়া হয়ে শেট্টারকে ফেরানোর চেষ্টা করছেন। এটা দলের দুর্বলতার লক্ষণ।
ফের পুরানো ঘরে ফেরা নিয়ে শেট্টার বলেন, অতীতে দল আমাকে অনেক দায়িত্ব দিয়েছে। কিছু সমস্যার কারণে আমি কংগ্রেস পার্টিতে গিয়েছিলাম। গত ৮-৯ মাসে বিজেপিতে অনেক আলোচনা হয়েছে। কর্ণাটকের বিজেপি নেতা-কর্মীরা আমাকে বিজেপিতে ফিরে আসতে বলেছিলেন। ইয়েদুরাপ্পাজি এবং বিজয়েন্দ্রজিও চেয়েছিলেন আমি বিজেপিতে ফিরে আসি। নরেন্দ্র মোদীজিকে ফের প্রধানমন্ত্রী হতে হবে, এই বিশ্বাস নিয়েই ফের বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি।
হুবলির ছয়বারের বিধায়ক (প্রাক্তন) জগদীশ শেট্টার দল থেকে টিকিট না পাওয়ায় বিজেপি ছেড়েছিলেন। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে, তিনি তার হুবলি-মধ্য ধারওয়াদ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি বিজেপির মহেশ টেঙ্গিনকাইয়ের কাছে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হন। কংগ্রেস তাঁকে এমএলসি করেছিল।
২০২৩ সালের এপ্রিলে শেট্টার যখন বিজেপি ত্যাগ করেন, তখন তিনি বলেছিলেন যে তিনি বিজেপির প্রবীণ নেতাদের দ্বারা অপমানিত হয়েছেন এবং গেরুয়া দল ছাড়ার তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি সেই সময় বলেছিলেন, 'গত কয়েকদিনে বিজেপি নেতারা আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তা অপমান ছাড়া আর কিছুই নয়। দলের সদস্যরা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন, যার ফলে আমি পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। রাজ্যের কিছু নেতা বিজেপির সিস্টেমের অপব্যবহার করছেন।
প্রসঙ্গত, ৬৮ বছর বয়সী আরএসএসের কট্টর ব্যক্তি শেট্টার ২০১২-১৩ সালে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, যখন ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল।