বিচাপতিদের মধ্যে মতের অমিল হয়েই থাকে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে সমকামী বিবাহ মামলাতেও তা দেখা গিয়েছে। ৩-২ ভোটে আইনি বৈধতা পায়নি সমকামী বিবাহ। মতের অমিল অন্য অনেক মামলাতেই হয়েছে বিগত দিনে। তবে তাই বলে বিচারপতিরা প্রকাশ্য আদালতে একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া করেন না। তবে গুজরাট হাই কোর্টে গত সোমবার এমনই বেনজির দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। দুই বিচারপতি প্রকাশ্যে আদলতকক্ষেই একে অপরের সঙ্গে 'ঝগড়া' করেন। পরে আজকে একজন বিচরপতি অপরজনের কাছে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন।
দু'দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় গুজরাট হাই কোর্টের দুই বিচারপতির প্রকাশ্য 'ঝগড়া'। কর সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবকে চেঁচাতে দেখা যায় বেঞ্চের অপর বিচারপতি মৌনা ভাটের ওপর। ভাইরাল ভিডিয়োতে বিচারপতি বৈষ্ণবকে বলতে শোনা যায়, 'আপনি ভিন্ন মত পোষণ করলে করুন না 'ইয়ার'। আপনি আলাদা ভাবে ভাবতেই পারেন। একটি বিষয়ে আপনি ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন, অপর ক্ষেত্রেও আপনি তা করতে পারেন।' এর জবাবে বিচারপতি মৌনা মুখ খোলেন। বলেন, 'বিষয়টা সেনা না...' তবে তিনি পুরো কথা বলে শেষ করার আগেই বিচারপতি বৈষ্ণব তাঁকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন আর বলেন, 'তাহলে আর কথা বলবেন না। আলাদা রায়দান করুন।' এরপর নিজের আসন ছেড়ে উঠে পড়ে বিচারপতি বৈষ্ণব বলে দেন, সেদিনের জন্য সেই মামলার শুনানি আর হবে না বেঞ্চের সামনে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচারপতি বৈষ্ণবের আচরণ ভাইরাল হয়। গুজরাট হাই কোর্টের অ্যাডভোকেটরাও বলেন, এই ধরনের ঘটনা এর আগে তাঁরা দেখেননি। শুরু হয় জোর বিতর্ক। এরপর গতকাল বিজয়া দশমী উপলক্ষে আদালত বন্ধ ছিল। আজ ফের কাজ শুরু হয় আদালতে। বিতর্ক সত্ত্বেও আজকে বিচারপতি বৈষ্ণবের পাশেই ছিলেন বিচারপতি মৌনা। বুধবার সেই মামলার শুনানি ফের শুরু হয়। আর শুরুতেই নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন বিচারপতি বৈষ্ণব। বিচারপতি মৌনা এবং আদালতকক্ষে উপস্থিত অ্যাডভোকেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'সোমবার যা হয়েছে, আমি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমার মনে হয়, এমনটা করা আমার উচিত হয়নি। আমি ভুল করেছি।' এরপর আজকে এই মামলার শুননি এগিয়ে যায়।