মে মাসে করোনা টিকাকরণের গ্রাফ নিম্মমুখী ছিল। গোটা মে মাসে মাত্র ৭.৯ কোটি টিকা উপল্ব্ধ ছিল দেশবাসীর জন্য। ১ মে থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের চিকা দেওয়া শুরুর কথা থাকলেও অধিকাংশ রাজ্যেই তা সম্ভব হয়নি। তবে কোভিড যুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। আর তাই জুন মাসে টিকাকরণের গতি বাড়াতে চলেছে কেন্দ্রের। মে মাসের ৭.৯ কোটির বদলে এই মাসে ১২ কোটি মানুষকে টিকা দিতে চাইছে কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী, ৪৫ উর্ধ্বদের জন্য রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যএ ৬ কোটি টিকা পাঠাবে কেন্দ্র। তাছাড়া আরও প্রায় ৫.৯ কোটি টিকা রাজ্যগুলি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলি সরাসরি কিনতে পারবে উত্পাদনকারী সংস্থাগুলির থেকে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, '২০২১ সালের জুন মাসে প্রায় ১২ কোটি টিকা উপলব্ধ থাকবে করোনা টিকাকরণের কর্মসূচির জন্য। করোনা রুখতে ও অতিমারী মোকাবিলা করতে কেন্দ্রের সবথেকে বড় হাতিয়ার টিকা। করোনা রোগীদের চিহ্নিত করে তাদের চিকিত্সা প্রদান করাও আমাদের কৌশল। দেশজুড়ে টিকাকরণের এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে সাহায্য করছে কেন্দ্র।'
যদিও টিকাকরণ বণ্টন নিয়ে বিশদ তথ্য দেওয়া হয়নি কেন্দ্রের তরফে। সাধারণত টিকা বণ্টনের বিষয়ে রাজ্যগুলিকে ৩০ বা ১৫ দিন আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। সরবরাহ নিয়ে পরিকল্পনা ছকে রাখতেই এই তথ্য জানানো হয় আগেভাগে। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নাকি সেরাম কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, জুন মাসে তাঁর সংস্থা ৯ থেকে ১০ কোটি টিকা উত্পাদন করতে পারবে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিকের দাবি, 'উত্পাদনকারীরা সরবরাহ বাড়াচ্ছে। তাই আসছে সপ্তাহগুলিতে আরও বেশি টিকা উপলব্ধ হবে। টিকাকরণের ক্ষেত্রে এখনও আমরা স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইনে কাজ করা কর্মী এবং ৪৫ ঊর্ধ্বদের অগ্রাধিকার দেব।'