কবচ সিস্টেমের বড় সাফল্য। ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা স্পিডে যাওয়া ট্রেনে দুর্ঘটনা রুখতে বিরাট সাফল্য পেল কবচ সিস্টেম। উত্তর মধ্য় রেলের তরফে একটা মহড়া করা হয়েছিল। সেখানেই আগ্রা ডিভিশনে বড় সফলতা পেয়েছে এই কবচ সিস্টেম।
সূত্রের খবর, পালওয়াল- মথুরা সেকশনে এই মহড়া করা হয়েছিল। কবচ সিস্টেম কতটা কাজ করছে সেটা দেখার জন্য় একটা সেমি হাইস্পিড ইঞ্জিনকে ব্যবহার করা হয়। মানে দুর্ঘটনা রুখতে এই সিস্টেম কতটা কার্যকরী সেটা দেখার জন্য়ই মহড়ার আয়োজন করার হয়েছিল। কিন্তু সেটা সফল হয়েছে খবর।
এই কবচ অ্যান্টি ট্রেন কলিশনের কবচ সিস্টেম পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। রিসার্চ ডিজাইনস অ্য়ান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশনের তরফে এই কবচ সিস্টেমকে লাগু করা হয়। এই সিস্টেমের মাধ্য়মে যেটা বলা হয়ে থাকে যে কোনও ট্রেন চালক যদি সিগন্যাল ভঙ্গ করেন তবে আপৎকালীন ব্রেক চালু হয়ে যাবে।
পিটিআইয়ের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে,উত্তর সেন্ট্রাল রেলওয়ের ডেপুটি চিফ সিগনাল অ্য়ান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে এই পরীক্ষা করা হয়। সেমি হাইস্পিড ইঞ্জিনের এই কবচ সিস্টেম লাগু করা হয়। এরপর তা পরীক্ষা করা হয়। গত ১৯ জানুয়ারি এই সিস্টেমের পরীক্ষা করা হয়। পালওয়াল-মথুরা সেকশনে এই ইঞ্জিনের পরীক্ষা করা হয়েছে।
আগ্রা রেলের পিআরও প্রশস্তি শ্রীবাস্তব এনিয়ে সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, লোকোর পাইলটকে বলা হয়েছিল সিগন্য়াল লাল থাকলেও আপনি ব্রেক টিপবেন না। মূল লক্ষ্য ছিল যে কবচ সিস্টেম কি আদৌ কাজ করতে সমর্থ? সেটা কতটা কাজ করছে সেটা দেখার জন্য় এই পরীক্ষা করা হয়।
সিগন্য়াল যদি না মানা হয় তবে কবচ সিস্টেম আদৌ কাজ করবে কি না সেটা দেখার জন্যই এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে সেই পরীক্ষায় পাস করেছে সিস্টেম। দেখা গিয়েছে ওই সিগন্য়াল দেখার পরে ব্রেক কষেননি চালক। কিন্তু সিগন্যালের ঠিক ৩০ মিটার আগে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি।