প্রতিবারই জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও নিট পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ার পরেই একেবারে হইহই শুরু হয়ে যায়। সফলদের নিয়ে নাচানাচি চলে পুরোদমে। কিন্তু সেই সফলতার আলোর নীচে থাকেন এমন অনেকেই যাঁদের কয়েকটা নম্বরের জন্য় পিছিয়ে যেতে হয়। হতাশায় ডুবে যান তাঁরা। এবার তাঁদের পাশে থাকা জন্য় একাধিক পদক্ষেপ নিল রাজস্থান সরকার।
আসলে কোটাতে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছিল সরকারকে। এরপর সরকারি স্তরে কমিটি তৈরি করা হয়। এই আত্মহত্যার প্রবণতা কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হয়। রাজ্য স্তরে নজরদারি কমিটি তৈরির ব্যাপারেও সুপারিশ করা হয়েছিল। সেই মতো এবার সেই কমিটির সুপারিশকে লাগু করার কাজ শুরু হয়ে গেল।
মূলত যেটা বলা হচ্ছে যে প্রবল মানসিক চাপের জেরে অনেকে আত্মহত্যা করে ফেলছেন। কারণ কোটাতে ভর্তি হতে গেলে বিপুল টাকার দরকার। আর সেখানে সফল না হলে সমস্যা বাড়তে পারে। পরিবারের উপর বোঝা বাড়বে। সেকারণে আর কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না তারা। প্রচন্ড অবসাদে দিশেহারা হয়ে একটা সময় চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পড়ুয়াদের একাংশ।
এবছর কোটাতে সবথেকে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ২৪জন আত্মহত্যা করেছেন কোটাতে। ২০১৫ সালের পর থেকে এই প্রথম এত আত্মহত্য়া করল কোটাতে। তবে এবার সরকার অত্যন্ত সতর্ক। আর যাতে কাউকে কোটাতে সন্তান পাঠিয়ে এই চরম পরিণতি দেখতে না হয় সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার।
কোনও পড়ুয়ার মধ্যে যদি মানসিক অবসাদ গ্রাস করে তবে তা নিয়ে যাতে খোঁজ রাখা হয় সেব্যাপারেও বলা হচ্ছে। মূলত বিভিন্ন জায়গায় পেয়িং গেস্ট রাখা হয়। হস্টেলেও থাকেন অনেকে। কিন্তু তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে কি না সেটা দেখা দরকার। বলা হচ্ছে এই কোটাকে কেন্দ্র করে প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা আবর্তিত হয়।
মূলত কোটাতে অনেকেই প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য় আসেন। কিন্তু সেখানে আত্মহত্যার ঘটনাও হয়। তবে এবার রাজস্থান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে গেলে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে, প্রতি সপ্তাহে যে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেটার রেজাল্ট গোপন রাখতে হবে, নিট আর জয়েন্টে যারা টপার হচ্ছে তাদের নিয়ে মাতামাতি করা যাবে না। ক্লাস নাইনের আগে ভর্তি হওয়া যাবে না। কেউ যদি মাঝপথে বেরিয়ে যেতে চায় তবে তার জন্য দরজা খোলা রাখতে হবে। ফি এর চাপ দেওয়া যাবে না। জয়েন্টের রেজাল্ট, নিটের রেজাল্ট বিরাট করে ডিসপ্লে করা যাবে না।