একদিকে হুঁশিয়ারি অপরদিকে পরীক্ষা এই দুই পথ ধরেই লোকসভা নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। আর সেটা দেশের জেলাশাসক (ডিএম) ও অতিরিক্ত জেলাশাসকদের (এডিএম) প্রশিক্ষণ এবং কী করতে হবে তা ঠিক করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জানুয়ারি মাসেই নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসছে বাংলায়। অন্যান্য রাজ্যেও তাঁরা যাবেন। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে হিংসা ঠেকাতে নিরাপত্তার কৌশল আরও কড়া এবং আঁটোসাঁটো করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন পরিচালনায় কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে জেলাশাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসকদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
এই কাজ করার জন্য এবার প্রথম অফিসারদের বারবার নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেখানেই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। একদিন সাধারণ প্রশিক্ষণ। আর একদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বার্তা। ওই বার্তাতেই আছে নিরপেক্ষতার অভাব ঘটলে বা কর্তব্যে গাফিলতি থাকলে কোন শাস্তি নেমে আসতে পারে। পরীক্ষায় বাস্তব সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন রাখা হচ্ছে। আর লিখতে হচ্ছে তার সমাধান। ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে শুরু করে নির্বাচন পরিচালনা অফিসাররা সামলান। এই কাজে কোনও খামতি বা গাফিলতি ধরা পড়লে কড়া পদক্ষেপ থেকে নির্বাচন কমিশন পিছিয়ে আসবে না সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে প্রত্যেক নির্বাচনেই দেখা যায়, ভোটার তালিকা নিয়ে বিরোধীরা সবসময়ই সরব। আবা নির্বাচন পরিচালনার কাজে অফিসারদের ভূমিকা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তারপর তো সেসব নিয়ে মামলা দায়ের আছেই। আগের কয়েকটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতাকে নির্বাচন কমিশন কাজে লাগায়। আবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত জেনে তাতেও গুরুত্ব দেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। তবে নির্বাচন চলার সময় শাসক–বিরোধী দু’পক্ষই নানা অভিযোগ তুলে থাকেন। এবার সেসব যাতে না ঘটে তার জন্য আগাম পদক্ষেপ করছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু–সৌমেন সাক্ষাৎ ঘিরে গুঞ্জন চরমে জেলায়, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে চর্চা তুঙ্গে
অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়েও নির্বাচন কমিশনের অবস্থান বেশ কড়া বলে জানা গিয়েছে। আগের কয়েকটি বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের হিংসা নিয়ে তথ্য রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে। আবার আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার ঘটনাগুলি নিয়েও পরিকল্পনা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন। এটা গোটা দেশের জন্যই প্রযোজ্য হবে। সব রাজ্যেই কড়া নজরদারির মধ্যে দিয়ে লোকসভা নির্বাচন করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আগের থেকেও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।