জ্বর ও এইচআইভি এডসের ওষুধ মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি ওষুধ। সেই ওষুধের ফলে সেরে উঠেছেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক রোগী। যে রোগীর দেহে করোনাভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল, ওই মিশ্রণ দিয়ে তৈরি ওষুধ দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার পর তাঁর শরীরে মারণ ভাইরাসের খোঁজ মেলেনি। এমনটাই দাবি করলেন থাইল্যান্ডের চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাসের উপসর্গ কী কী ? অসুখই বা কীভাবে রুখবেন? হেল্পলাইন চালু কেন্দ্রের
গত বছরের শেষভাগ থেকে উহানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কিন্তু এখনও কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। করোনাভাইরাসকে কাবু করার গবেষণা চালাচ্ছে চিন। মারণ ভাইরাসকে রুখতে ওষুধ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছিল আমেরিকাও।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস : মৃত বেড়ে ৩৬১, আরও এক শহর বন্ধ করল চিন
এরইমধ্যে ব্যাঙ্ককের রাজাবিথি হাসপাতালের একদল চিকিৎসক জানান, তাঁদের অধীনে কয়েকজন করোনা-আক্রান্ত রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ওই হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভরতি রয়েছেন ৭০ বছরের এক চিনা বৃদ্ধা। ১০ দিন আগে উহানের ওই বৃদ্ধার দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর এইচআইভি রুখতে ব্যবহৃত ওষুধ লোপিনাভির ও রিটোনাভির সঙ্গে কড়া মাত্রায় জ্বরের ওষুধ ওসটেলমিভির মেশানো হয়। তারপর বৃদ্ধার শরীরে করোনাভাইরাস মেলেনি।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস আতঙ্ক- চিন থেকে মাল কেনা বন্ধ করলেন শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীরা
হাসপাতালের চিকিৎসক কিয়েংসাক আত্তিপর্নওয়ানিচ বলেন, 'এটা কোনও উপশম নয়। তবে রোগীর অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে। ১০ দিন ধরে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই মিশ্রণ দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।'
আরও পড়ুন : করোনা আতঙ্কের মাঝে ভালোবাসার জয়,মধ্যপ্রদেশে চিনের পাত্রীকে বিয়ে করলেন ভারতীয়
তবে এখনই সারা বিশ্বে আক্রান্তদের উপর এই প্রতিষেধক ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, এটা এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। সারা বিশ্বে চিকিৎসরার জন্য সেই মিশ্রণ ব্যবহার করা যাবে কিনা, তা নির্ধারণ করতে হবে।