সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে একাধিক আইন প্রণয়ন করার কথা ঘোষণা করেন সেখানকার প্রশাসক প্রফুল প্যাটেল। সেই ঘোষণার প্রতিবাদে একজোট হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। লাক্ষাদ্বীপ বাঁচানোর ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এমন কী লাক্ষাদ্বীপে বিজেপির ইউনিট সভাপতি পর্যন্ত প্রফুল প্যাটেলের ঘোষণার বিরোধিতা করেছেন। এই আবহে এবার নয়া আইনগুলির সমর্থনে নামলেন লাক্ষাদ্বীপের কালেক্টর এস এসকার আলি। তাঁর অভিযোগ, স্বার্থ থাকায় এই বদলগুলিকে মানতে চাইছে না অনেকে।
তিনি এই বিষয়ে বলেন, 'কিছু স্বার্থপর মানুষ এই বিষয়ে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। প্রস্তাবিত নিয়মগুলি লাক্ষাদ্বীপের উন্নয়নের অংশ। কেন্দ্রীয় সরকার যে ৫০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তার অংশ এটা।' নয়া নিমগুলির সমর্থন করতে করতে তিনি মালদ্বীপের তুলনাও টানেন।
তিনি বলেন যে গোহত্যা বন্ধ করার কথা বলা হলেও গোমাংস খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তাছাড়া মিড-ডে মিল থেকে গোমাংস এবং মুরগির মাংসের বদলে মাছ এবং ডিম দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। এই সিদ্ধান্তটি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের বলে তিনি জানান। মাছকে আরও জনপ্রিয় করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে তাঁর দাবি। তাছাড়া মদ বিক্রি শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্য সীমিত থাকবে বলে তিনি জানান।
এদিকে লাক্ষাদ্বীপে নয়া যে বিতর্কিত নীতি নেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার দাবিতে কেরল বিধানসভায় রেজোলিউশন পাশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে লাক্ষাদ্বীপে এক সর্ব দলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এই নীতিগুলির বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হবে।
এদিকে লাক্ষাদ্বীপে এই নয়া আইন যাতে না লাগু করা হয়, সেই আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল খোডা প্যাটেল যে নির্দেশিকা জারি করেছেন, তা ভিন্নমত পোষণকারীদের শাস্তি দেয় এবং তা গণতন্ত্রকে দুর্বল করে বলে দাবি করেছেন তিনি।
অপরাধমূলক কাজকর্ম প্রতিরোধ বিধি ২০২১ ও লাক্ষাদ্বীপ পশু সংরক্ষণ বিধি ২০২১-এর প্রস্তাবিত পরিবর্তন এবং মদ বিক্রির উপর কড়াকড়ি প্রত্যাহার করে নেওয়া সেখানকার স্থানীয় সম্প্রদায় ও সংস্কৃতির উপর ইচ্ছাকৃত আঘাত বলে তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী।