পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ওড়িশায় আমন্ত্রণ জানালেন নবীন পট্টনায়েক। আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে চলা হকি বিশ্বকাপ উপলক্ষে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সবাইকে। তবে এই আমন্ত্রণের নেপথ্যে সূক্ষ্ম রাজনৈতিক সমীকরণও রয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। বাংলার মমতা, তামিলনাড়ুর স্ট্যালিন ছাড়াও নবীনের আমন্ত্রণ পত্র হাতে পেয়েছেন রাজস্থানের অশোক গেহলট, ছত্তিশগড়ের ভূপেশ বাঘেল এবং হিমাচল প্রদেশের সুখবিন্দর সিং সুখু। উল্লেখ্য, কংগ্রেস বিরোধী হিসেবে পরিচিত নবীন পট্টনায়েক কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানোয় রাজনৈতিক সমীকরণ দেখছেন অনেকে। একদা এনডিএ থাকলেও বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে জোটে নেই নবীন। তবে কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপির বহু নীতিকেই সমর্থন জানিয়ে এসেছে তাঁর দল। তবে রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ এখন বিজেপি। এই আবহে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের দরজা খুলে দিতে পারে।
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা নবীনের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তাঁরা সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেবেন। এই আমন্ত্রণকে রাজনৈতিক সুযোগ হিসেবে দেখছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, বিজেপির সবচেয়ে পুরোনো দুই সঙ্গী শিবসেনা ও অকালি দল বিগত দিনে সঙ্গ ছেড়ে মোদী সরকারের। শিবসেনা তো কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে মহারাষ্ট্রে সরকারও চালিয়েছিল। এই আবহে নবীনকে সঙ্গে নিয়ে চলতে কংগ্রেসের কোনও আপত্তি নেই বলে বার্তা এসেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে। এই আবহে অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল এবং সুখবিন্দর সিং সুখু ওড়িশায় গিয়ে হকি বিশ্বকাপে যোগ দিতে পারেন বলেই খবর।
এদিকে হকি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়াও বেশ কিছু বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও আমন্ত্রণ পেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। ওড়িশার ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী তুষারকান্তি বেহেরা এবং হকি ইন্ডিয়ার সভাপতি তথা বিজেডির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ তিরকি অন্তত চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা হলেন - অনুরাগ ঠাকুর, অশ্বিন বৈষ্ণব, কিরেন রিজিজু এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও এই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বিশ্বকাপের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।