মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলায় একই পরিবারের ৯জনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় একেবারে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। এই ঘটনায় পুলিশ ১৫জনকে গ্রেফতার করে। পরিবারের সকলে সুইসাইড করেছেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করেছিল।মূলত পাওনা টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য় তাদের চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এর জেরেই তারা আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের অনুমান। তবে এবার তদন্তে উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য।
এই ঘটনায় দুজনকে জেরা করে পুলিশ অন্য তথ্য পাচ্ছে। তদন্তে উঠে আসছে এটা আত্মহত্যা নয়, এটা খুনের ঘটনা। এই ঘটনায় এক তান্ত্রিককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে বিষ প্রয়োগ করে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। এরপরই আত্মহত্যার ঘটনাকে সে খুন বলে চালানোর চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ।
সেক্ষেত্রে ঠিক কেন ওই পরিবারের লোকজনকে খুন করা হয়েছিল সেটাই এবার জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত গত ২০ জুন ওই বাড়িতে দেহগুলি পাওয়া গিয়েছিল। বাড়িতে দুই ভাইয়ের পরিবার থাকতেন। এক ভাই শিক্ষক ও অপর ভাই পশু চিকিৎসক। ধারে জর্জরিত হয়ে তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করেছিল। এবার তদন্তে উঠে আসছে তাদের খুন করা হয়েছিল। এক তান্ত্রিক ও তার ড্রাইভার এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
কোলহাপুর রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ মনোজ কুমার লোহিয়া জানিয়েছেন, তান্ত্রিক ও তার ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারাই বিষ খাইয়ে খুন করেছে বলে তদন্তে উঠে আসছে।