Indian economy growth rate: চলতি অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার প্রায় ৭ শতাংশ হতে পারে। মঙ্গলবার এমনই পূর্বাভাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এবং বিশ্বব্যাঙ্কের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
সীতারামন বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে এই আর্থিক বৃদ্ধির বিষয়টি রয়েছে। ভারতীয় অর্থনীতি কোভিড -১৯ মহামারী থেকে বেরিয়ে আসছে। সেই গতিকে ধরে রাখার দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে।
তাঁর বিবৃতি এই সময়ে বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ সম্প্রতি IMF, ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৮ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। এর আগে, জানুয়ারি মাসে দেওয়া পূর্বাভাসে যদিও তা অনেকটাই বেশি(৮.২ শতাংশ) ছিল। জুলাইয়ে সেটা কমিয়ে ৭.৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল IMF। তবে, এত পূর্বাভাস হ্রাস, বিশ্বজুড়ে মন্দা সত্ত্বেও, ভারতই দুনিয়ার দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির স্থানেই বজায় থাকবে। আরও পড়ুন : Narendra Modi: ‘উন্নত দেশগুলির তুলনায় ভারতে মুদ্রাস্ফীতি অনেক কম’ প্রশংসা মোদীর
নির্মলা বলেন, 'আমি জানি যে বিশ্বজুড়েই আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস হ্রাস করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী যে এই দশক জুড়ে ভারতের আপেক্ষিক এবং সর্বাত্মক বৃদ্ধি বজায় থাকবে।'
মঙ্গলবার IMF জানিয়েছে যে, আগামী বছর আন্তর্জাতিক স্তরে আর্থিক বৃদ্ধি আরও মন্থর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে প্রভাবিত হয়েছে। এর ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক মন্দার মতো বিষয়ে জনসাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই কমানো হয়েছে পূর্বাভাস।
করোনভাইরাসের জের কমতে না কমতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নাড়িয়ে দিয়েছে অর্থনীতিকে। এর ফলে খাদ্য ও শক্তির দাম বেড়ে গিয়েছে। দেশগুলি ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং চড়া সুদের হারে কার্যত চাপে রয়েছে। আরও পড়ুন : Rupee slumps below ₹82: এটাও সম্ভব হল! প্রথমবার এক ডলারের মূল্য পেরিয়ে গেল ৮২ টাকার গণ্ডি
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর, খাদ্য ও জ্বালানির দাম তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে একাধিক অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারত।
সম্প্রতি আসন্ন সম্ভাব্য মন্দার বিষয়েও সতর্ক করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।