এনপিআর প্রক্রিয়ায় অসহযোগিতা করলে গুনতে হতে পারে মোটা আর্থিক জরিমানা। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
রাজ্যে এনপিআর প্রক্রিয়া কার্যকর হতে দেবে না বলে সাফ জানিয়েছে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরালা প্রশাসনও।
এনপিআর সংক্রান্ত কাজে সরকারি কর্মীদের ভুয়ো তথ্য দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাহিত্যিক তথা সমাজকর্মী অরুন্ধতী রায়। গত ডিসেম্বর মাসে এনপিআর, এনআরসি ও সিএএ বিরোধী এক ফোরামে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সমীক্ষায় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা না করলে ১,০০০ টাকা জরিমানা করার ব্যবস্থা রয়েছে নাগরিকত্ব আইনে।
এ দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘নাগরিকত্ব আইনের ১৭ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে, ভুল তথ্য দিলে এক হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করার বিধান রয়েছে।’
তবে ২০১১ ও ২০১৫ সালের এনপিআর প্রক্রিয়ায় আইনের এই ধারা প্রয়োগ করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। পাশাপাশি, সম্প্রতি পরীক্ষামূলক ভাবে ৩০ লাখ মানুষের উপরে করা এনপিআর সমীক্ষায় ৭৩টি জেলায় ভালোই সাড়া পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
মন্ত্রকের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানিয়েছেন, ’৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করেছেন মানুষ। শুধু প্যান সংক্রান্ত সবিস্তার তথ্য দিতে অনেকে দ্বিধা বোধ করেছেন। এর জেরে এনপিআর থেকে ওই তথ্য বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র সম্প্রতি টুইট করে জানিয়েছেন, আধার, ভোটার পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘এনপিআর প্রক্রিয়া সম্পর্কিত সংবাদে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, এই নথিগুলি সম্পর্কে তথ্য দেওয়া আবশ্যিক। এমন বার্তা সত্যি নয়।’
আগামী ১ এপ্রিল সরকারি ভাবে শুরু হতে চলেছে এনপিআর প্রক্রিয়া। এর আগে এনপিআর ও সেনসাস-এর দায়িত্বে থাকা ডিস্ট্রিক্ট ডিরেক্টর অফ সেনসাস অপারেশনস-কে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালা সরকার জানিয়েছে, তাদের রাজ্যে এনপিআর প্রক্রিয়া কার্যকর করার অনুমোদন দেওয়া হবে না।