হঠাৎ গোটা সরকার পদত্যাগ করে বসল ওড়ি্শায়। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের নির্দেশে আজ, শনিবার ওড়িশা রাজ্য মন্ত্রিসভার সব সদস্য পদত্যাগ করেন। এই ঘটনায় নড়ে উঠেছে নযাদিল্লিও। হঠাৎ কী হল ওড়িশায়। কিন্তু জানা গিয়েছে, রবিবার নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত করতে নবীন পট্টনায়েকের এই সিদ্ধান্ত বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এখন জাতীয় রাজনীতিতে এটি চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ঠিক কী ঘটেছে ওড়িশায়? নবীন পট্টনায়েকের ক্যাবিনেটের পাশাপাশি ইস্তফা দিয়েছেন ওড়িশা বিধানসভার স্পিকারও। তাতে আরও শোরগোল পনে গিয়েছে। শনিবার দুপুরে তাঁরা সকলেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথগ্রহণ করবেন। শুক্রবারই ওড়িশার ব্রজরাজনগর বিধানসভা উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বিজেডি। তারপরই এই গোটা মন্ত্রিসভার পদত্যাগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? সূত্রের খবর, নবীন পট্টনায়েক মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে চায়। সেখানে মন্ত্রিসভা টিকিয়ে রেখে রদবদল করলে অনেক সমস্যা দেখা দিত। যার ফলে বিজেপি সুবিধা পেয়ে যেত। তাই এই পদক্ষেপ করে মন্ত্রিসভা রদবদল করলে সমস্যা দেখা দেবে না। নবীন পট্টনায়েক সমস্ত মন্ত্রীকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেম।
কারা পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভায়? সরকারি সূত্রে খবর, পরিকল্পনা–বাণিজ্য–পরিবহণ মন্ত্রী পদ্মনাভ বেহেরা, তথ্য ও জনসংযোগ এবং জল সরবরাহ মন্ত্রী রঘুনন্দন দাস, খনি ও পূর্তমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মালিক এবং কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী প্রেমানন্দ নায়েক পদত্যাগ করেছেন এখনও পর্যন্ত। একইসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ সূর্যনারায়ণ পাত্রও পদত্যাগ করেছেন।