1/5 আরবী হরফ রয়েছে পোশাক জুড়ে। আর পোশাকের সেই আরবী হরফকে পবিত্র কোরানের অংশ বলে ভ্রান্তি তৈরি হয়। এই পোশাকটি ছিল এক মহিলার। পাকিস্তানে জনসমক্ষে ওই মহিলা এমন পোশাক পরে গিয়েছিলেন রেস্তোরাঁয়। তাঁকে ঘিরে ধরে জনতা। ওঠে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগ। লাহোরের এই ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
2/5 স্বামীর সঙ্গে গিয়েছিলেন রেস্তোরাঁয়। পরনে ছিল এমন এক পোশাকে যেখানে লেখা রয়েছে আরবী শব্দ। আরবী শব্দগুলিকে ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রহন্থ কোরানের অংশ বলে মনে করে জনতা ক্ষিপ্ত হয়। মুহূর্তে রেস্তোরাঁর চারপাশে জমায়েত শুরু হয়। ঘিরে ধরে জনতা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মহিলা। এই ঘটনার ভিডিয়ো ক্রমেই ভাইরাল হয়। এদিকে, তারই মাঝে জনতা দাবি তোলে, ‘ধর্মদ্রোহিতার শাস্তি কেবল মুণ্ডচ্ছেদ।’
3/5 প্রবল ভিড়ের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। ততক্ষণে মহিলাকে জনতা বলে পোশাকটি খুলে ফেলতে। জনতার এই দাবির মাঝে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ শেষমেশ ওই মহিলাকে পরিস্থিতি থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে। ক্ষিপ্ত জনতার মাঝখান দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মহিলাকে। এদিকে, পাকিস্তানের ওই জনতাকে শান্ত করতে সেখানে এক মহিলা পুলিশ অফিসার গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জনতার প্রতি তাঁর বক্তব্যের ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে।
4/5 যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাতে পুলিশ অফিসার শেহরবানু নাকভিকে দেখা গিয়েছে। তিনি গিয়ে ওই ক্ষিপ্ত জনতার মধ্যে থেকে ওই মহিলাকে কার্যত উদ্ধার করেন। পাকিস্তানের পুলিশের এক সাইট বলছে, ‘ওই মহিলা তাঁর স্বামীর সাথে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। তিনি একটি কুর্তা পরেছিলেন যাতে কিছু শব্দ লেখা ছিল। কিছু লোক তা দেখে তাকে কুর্তা খুলে ফেলতে বলেন। একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল।’
5/5 পুলিশ জানিয়েছে, পরে ওই মহিলাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হলে, তিনি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চান। তিনি বলেন, ‘কারোর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে আমি চাইনি। আমি ওই কুর্তা কিনেছিলাম, তার ডিজাইনটি ভালো লেগেছিল বলে।’