Operation Ganga: ‘উদ্ধার অভিযানে রাজনৈতিক রঙ নয়’,নাম না করে রাগাকে বার্তা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

রাজনৈতিক মহলকে ‘সতর্ক’ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, উদ্ধারকাজকে রাজনৈতিক লেন্স দিয়ে দেখা বন্ধ না করলে এই অভিযানের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা মনোবল হারাবেন।

কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (ছবি পিটিআই)

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে জোর কদমে অপারেশন গঙ্গার পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে কেন্দ্রের চার হেভিওয়েট মন্ত্রী ইউক্রেনের পড়শি দেশগুলিতে গিয়েছেন উদ্ধারকাজ তদারকি করতে। তবে এই পরিস্থিতিতেও উদ্ধারকাজ নিয়ে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বিভিন্ন ভিডিয়ো পোস্ট করে ভারত সরকারের কাছে ‘আর্জি’ জানাচ্ছেন দ্রুত উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করতে। এই আবহে এবার উদ্ধারকাজে রাজনৈতিক রঙ না লাগানোর আহ্বান জানালেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডিএস প্রধান এইচডি দেবেগৌড়া।

দেবেগৌড়া রাজনৈতিক মহলকে ‘সতর্ক’ করে দাবি করেন, উদ্ধারকাজকে রাজনৈতিক লেন্স দিয়ে দেখা বন্ধ না করলে এই অভিযানের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা মনোবল হারাবেন। টুইট বার্তায় তিনি বোঝাতে চান যে, এহেন সংকটের সময় যদি রাজনৈতিক পয়েন্ট কুড়োতে নেতারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন, সেক্ষেত্রে তাঁদের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। উল্লেখ্য, বিরোধীদের মধ্যে একমাত্র কংগ্রেস, বিশেষ করে রাহুল গান্ধী এই উদ্ধারকাজ নিয়ে বারংবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধে চলেছেন। সেই অর্থে অন্য কোনও দল সরকারের বিরোধিতা করেনি। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত এই সময়ে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, দেবেগৌড়ার এই আবেদন মূলত রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করেই দেওয়া।

কারোর নাম না করেই দেশের রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে টুইট বার্তায় দেবেগৌড়া লেখেন, ‘আমি অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে এই অপারেশনগুলি কঠিন এবং সূক্ষ্ম হতে পারে। আমরা যাতে উদ্ধার প্রক্রিয়াকে রাজনীতিকরণ না করি। এতে অভিযান পরিচালনাকারীরা নিরাশ হবেন। এই সংকটের সময়ে পয়েন্ট স্কোর করা আমাদের খারাপ দেখাবে। আসুন একসাথে কাজ করি।’

টুইটে দেবেগৌড়া আরও লেখেন, ‘আমি ইউক্রেনে আটকে পড়া আমাদের তরুণ নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য আন্তরিক অনুরোধ করার ভিডিয়ো দেখছি। তাদের দুর্দশা হৃদয় বিদারক। আমি বুঝতে পারি তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে মরিয়া। কিন্তু যখন সেই দেশে একটি যুদ্ধ চলছে এবং অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে, তখন অপারেশনাল লিঙ্কগুলি ভেঙে যায়। তখন আমাদের উচিত, অফিসার এবং দূতাবাসকে তাদের কাজের দিকে মনোনিবেশ করতে দেওয়া এবং তাদের সমর্থন করা।’