দিনে দিনে চরম আর্থিক দুর্গতির দিকে চলে যাচ্ছে পাকিস্তান। সদ্য আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার বা আইএমএফ-এর সদস্যরা পাকিস্তানে পৌঁছেছিলেন। তাঁদের কাছেই সাম্প্রতিককালে আর্থিক সাহায্যের হাত পেতেছে ইসলামাবাদ। তবে আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে কোনও সমাধান সূত্র এখনও বের হতে পারেনি। আর দুইপক্ষের সমঝোতা যে সঠিক হয়নি, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও অর্থমন্ত্রী ইশক দার। সদ্য প্রতিরক্ষামন্ত্রীও মেনে নিয়েছেন ‘পাকিস্তান দেউলিয়া’। এমন এক পরিস্থিতিতে আরও চাঞ্চল্যকর খবর উঠে এসেছে।
আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে ইসলাবাদ খাতায় কলমে টাকা জোগাড় করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। এমন কিছু বিল্ডিং তাঁরা বিক্রি করে দিতে চাইছে যা ওয়াংশিংটনে তাঁদের দূতাবাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়াশিংটনে যে বিল্ডিং পাকিস্তানের প্রতিরক্ষার একটি বড় স্তম্ভ ছিল, সেই অংশটিকে বিক্রি করতে চাইছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, বিক্রি নিয়ে পাকিস্তান তিনটি অফার পেয়েছে। জানা গিয়েছে, নিলামে একটি ইহুদি গোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি দাম হাঁকিয়েছে। তারা ৬.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে প্রস্তুত। জানা গিয়েছে, বিল্ডিংয়ের ভিতরে তাঁরা একটি উপাসনালয় গড়তে চান। এছাড়াও চমকের তালিকায় রয়েছে আরও এক নাম। এক ভারতীয় রিয়েল এস্টেট এজেন্ট সেই বিল্ডিং কিনতে চেয়েছেন। তিনি দাম হাঁকিয়েছেন ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ওই বিল্ডিং নিলামের তালিকায়। আর তৃতীয়জনের তালিকায় রয়েছেন এক পাকিস্তানি রিয়েল এস্টেট এজেন্ট। ('আমরা দেউলিয়া হয়ে যাওয়া দেশে থাকি', প্রকাশ্যেই বললেন খোদ পাকিস্তানের মন্ত্রী)
পাকিস্তানে বর্তমানে ঋণ তাঁদের দেশের জিডিপির ৮০ শতাংশ। আমদানির খরচ পাকিস্তান চোকাতে পারবে আর মাত্র তিন সপ্তাহ। এতটাই রসদ রয়েছে তাদের অর্থ ভান্ডারে! ইসলামাবাদের কাছে আর বাকি রয়েছে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাকিস্তানে আর মাত্র ২৯ দিনের মতো রয়েছে ডিজেল, আর ২১ দিনের মতো রয়েছে গ্যাসোলিন। আর্থিক পরিস্থিতি ফের একবার স্বাভাবিক ছন্দে আনতে বেশ কিছুটা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। সেদেশে হু হু করে বেড়ে গিয়েছে ডিজেল, পেট্রোলের দাম। যাতে জ্বালানি বেশি লোকজন কিনতে না পারেন তার জন্যই দাম বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বহিরাগত ঋণের বোঝা ১০ কোটির। আর এমন অবস্থা থেকেই আশঙ্কা সেদেশ শ্রীলঙ্কার মতোই খারাপ পরিস্থিতির দিকে না চলে যায়। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাউন্সেলার ডেরেক শোলেট বলছেন,‘ আমাদের উদ্বেগ নিয়ে আমরা খুবই স্পষ্ট, শুধু পাকিস্তানই নয়, তা বাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে চিন ঋণ দিয়েছে তাদের নিয়ে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup