আফগানিস্তান নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করে ভারত। বৈঠকে পাকিস্তানকে তুলোধনা করে ভারত। আফগানিস্তানে সন্ত্রাসকে মদত দেওয়ার প্রেক্ষিতে সুর চড়ায় ভারত। এরপরই এই বৈঠক নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। তাতে বলা হয়, আফগানিস্তানের সবথেকে নিকটতম প্রতিবেশী হলেও এই বৈঠকে ডাকা হয়নি পাকিস্তানকে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক শক্তি নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করছে। এই আবহে সদেশ দখলে মেতেছে তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী। সেখানে তলিবানকে মদত দিচ্ছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। এই নিয়ে ১৫ সদস্যে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকে ভারত। সেই বৈঠকে পাকিস্তানের কীর্তির কড়া নিন্দা জানায় ভারত।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বৈঠকে বলেন, 'আফগানিস্তানে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপন করতে হলে সেই অঞ্চলে যত জঙ্গি সংগঠনের মুক্তাঞ্চল আছে, সেগুলিকে নষ্ট করতে হবে। জঙ্গিদের সাপ্লাইন চেন ভাঙতে হবে। আফগানিস্তান এবং তার প্রতিবেশী সব দেশ থেকে জঙ্গিদের অস্তিত্ব মুছে দিতে হবে। বিচ্ছিনতাবাদী, জঙ্গি এবং কট্টরপন্থীদের এই অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করতে হবে।' ভারতের তরফে আরও অভিযোগ করা হয় যে তালিবানকে সরঞ্জাম সরবরাহ করে সাহায্য করছে পাকিস্তান। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়েছে ইসলামাবাদ।
এদিকে এর প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, 'পাকিস্তান আফগানিস্তানে নিকটতম প্রতিবেশী। আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের ভূমিকাকে আন্তর্জাতিক মহল স্বীকৃতি দিয়েছে। দোহা শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের ভূমিকা বড় ছিল। পাকিস্তান আফগানিস্তানের সব পক্ষকে সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি ত্যাগ করতে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, রাজনৈতিক সমঝোতা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে। পাকিস্তান সুস্পষ্ট ভাবে এই সব অভিযোগকে খারিজ করছে।'