সদ্যই ভারত তার রণ সম্ভারের মধ্যে থেকে ব্রাহ্মোস সুপারসনিক ক্রুণ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করেছে। এরপরই পাকিস্তান মঙ্গলবার বাবর ক্রুজ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে। ভূমি থেকে ভূমি পর্যন্ত উড়ান নিয়ে লক্ষ্য ভ্রষ্ট করার ক্ষেত্রে আপাতত বাবরের দক্ষতা নিয়ে বহু বিশেষজ্ঞমহলেই কাটাছেঁড়া চলছে। জানা গিয়েছে, ৯০০ কিলোমিটারের দূরত্বের যেকোনও বস্তুকে লক্ষ্যে রেখে তাতে আঘাত হানতে পারে ব্রাহ্মোস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তান এই মডেলে আগেও ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্র বাবর অন্যান্য পাকিস্তানের বাকি মিসাইলকে পিছনে রেখে দিচ্ছে। তবে এরপরও ভারতের ব্রাহ্মোসের তুলনায় পাকিস্তানের বাবর ক্ষমতায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
এর আগে পাকিস্তান যে সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়েছে তার রেঞ্জ ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যভেদ করার ক্ষমতায় সীমাবদ্ধ ছিল। পাকিস্তানি সেনার মতে এই বাবর মিসাইল শুধু ভূমিতেই নয়, সমুদ্রের বুকেও সমানতালে নিশানা তাক করতে পারে। এদিকে পাকিস্তানি সেনা ও প্রতিরক্ষা বাহিনী যখন তাদের সদ্য পরীক্ষিত এই ক্রুজ মিসাইল নিয়ে আলোচনায় মগ্ন, তখন সীমান্তের এপারে ভারত গর্বিত ব্রাহ্মোসের ক্ষমতা নিয়ে। সুখোই-৩০ বিমান থেকে এমকে ওয়ানে ব্রাহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারত।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের মাটিতে যেমন বাবর মিসাইলের নির্মাণ হয়েছে, তেমনই ভারতের মাটিতেও তৈরি হয়েছে ব্রাহ্মোস। উল্লেখ্য ব্রাহ্মোসের নির্মাণে রয়েছে রেমজেট ইঞ্জিন। বিশেষজ্ঞদের দাবি এরফলে লক্ষ্যভেদে ব্রাহ্মোস অবেকবেশি নির্ভুল। ফলে সামরিক দিক যেকে ব্রাহ্মোসের ক্ষমতা কার্যত নিখুঁত, যা সমরাঙ্গনে অত্যন্ত জরুরি। মূলত ব্রাহ্মোসের রেঞ্জ ৫০০ কিলোমিটার। তবে এই রেঞ্জ বাড়ানো যায়। ভবিষ্যতে ,মিগ-২৯, রাফাল,তেজসের মতো যুদ্ধবিমান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যাবে বলে জানা যাচ্ছে। যা পাকিস্তানের বাবরের থেকে ব্রাহ্মোসের কার্যকারিতাকে এক ধাপ এগিয়ে রেখেছে। প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মোসের অ্যান্টি শিপ ভার্সান গত ডিসেম্বরে সফল পরীক্ষণ হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কম উচ্চতা থেকে দ্রুততার সঙ্গে শত্র্ু শিবিরে হানা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে বাবর ক্রুজ মিসাইলের থেকে এটি বেশি ঘাতক।