অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে রামদেব এবং তাঁর সংস্থা পতঞ্জলি। এই আবহে এবার নতুন বিতর্ক তৈরি হল কোভিডে মৃত পতঞ্জলি দুগ্ধ ব্যবসার সিইও সুনীল বনসলের চিকিৎসা নিয়ে। উল্লেখ্য, কোভিড আবহে অ্যালোপ্যাথি এবং আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রামদেব। এর প্রেক্ষিতে রামদেবকে তাঁর কথা ফিরিয়ে নিতে বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এহেন পতঞ্জলির দুগ্ধ ব্যবসার সিইও সুনীল বনসল কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আধুনিক চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছিলেন জয়পুরে ররাজস্থান হাসপাতালে।
জয়পুরে ররাজস্থান হাসপাতালে পতঞ্জলির দুগ্ধ ব্যবসার সিইও সুনীল বনসলের ভর্তি হওয়া প্রসঙ্গে পতঞ্জলির দাবি, তারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বনসলকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। পতঞ্জলির এই মন্তব্য নিজেদেরকে অ্যালোপ্যাথি থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বনসলের স্ত্রী রাজস্থান হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
এদিকে অ্যালোপ্যাথি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে চাপে পড়েন রামদেব। আইএমএ-র আইনি চিঠির পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন রামদেবকে তাঁর মন্তব্য ফিরিয়ে নিতে বলেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের চাপের মুখে পড়ে রবিবার বাধ্য হয়ে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেন যোগগুরু রামদেব৷ তবে ক্ষমা চাইলেও হার মানেননি এই যোগগুরু৷
সোমবার রামদেব একটি টুইটে আইএমএ-কে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা সংক্রান্ত ২৫টি প্রশ্নের চিঠি পোস্ট করেন৷ রামদেবের প্রশ্ন, ফার্মা ইন্ডাস্ট্রির কাছে থাইরয়েড, আর্থারাইটিস, কোলাইটিস আর অ্যাস্থমার পুরোপুরি সেরে যাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন কোনও ওষুধ আছে? টিবি, চিকেন পক্সের যেমন ওষুধ রয়েছে, তেমনই লিভারের অসুখের জন্য কোনও ওষুধ আছে? অস্ত্রোপচার না করে হার্টব্লকেজের কী সমাধান রয়েছে এই চিকিৎসায় পদ্ধতিতে? আর কোলেস্টেরল হলে? এহেন একাধিক প্রশ্নবাণে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বিদ্ধ করেন রামদেব। তবে তাঁর সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক অ্যালোপ্যাথিতে বিশ্বাসী, এই খবর বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে রামদেব এবং তাঁর সংস্থাকে।