ঠিক বছর খানেক আগে অ্যামাজনের জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ গহীন অরণ্যে আটকে পড়েছিলেন একজন ব্রাজিলিয়ান পাইলট। এই গোটা বিষয়টা সেই সময়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল। সম্প্রতি, ওটাভিও মুনহোজ নামের ৩৮ বছর বয়সি ওই পাইলট গত ২৮ আগস্ট ভেনিজুয়েলার সীমান্তের কাছে ব্রাজিলের রোরাইমা রাজ্যের একটি জঙ্গলে বিমান দুর্ঘটনার কারণে জীবন হারিয়েছেন।
মুনহোজ গত বছরে ২৭ সেপ্টেম্বর আমাজনের জঙ্গলের ওপর দিয়ে বিমান পরিচালনা করার সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। বিমানটি বিকল হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে গভীর অরণ্যে। তবে তিনি তার আগের মুহূর্তেই বিমান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন। টানা ১৩ দিন আমাজনের জঙ্গলে হেঁটে বেরিয়েছেন সাহায্যের জন্য। ৮ অক্টোবর উদ্ধার হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি খাবার বা জল ছাড়াই ১৩ দিন কাটিয়েছিলেন। সেই যাত্রায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও দ্বিতীয় বারের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন মুনহোজ।
(আরও পড়ুন: G20 Summit LIVE: সকালে অক্ষরধাম মন্দিরে ঋষি, রাজঘাটে UN, WHO প্রধানরা)
তার বোনের দায়ের করা নিখোঁজ রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তবে ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তার খুড়তুতো ভাই আলেকজান্দ্রে মুনহোজ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান,ওটাভিও মুনহোজের মৃতদেহটি পাঁচ দিন ধরে জলের নিচে ছিল এবং তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে তার মা মানসিক ভাবে প্রচন্ড ভেঙে পড়েছেন।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, বিমান পরিচালনা সাথে যুক্ত হওয়ায় আগে মুনহোজ লন্ড্রিনা, পারানার মিলিটারি পুলিশের প্রাক্তন সদস্য ছিলেন। তিনি একজন প্রাইভেট পাইলট ছিলেন এবং বোয়া ভিস্তা অঞ্চলে বিমান পরিচালনা করতেন। এর আগের দুর্ঘটনার পর সুস্থ হয়ে তিনি আবার নিজের পেশায় ফিরে এসেছিলেন। মুনহোজের মৃত্যুর পর তার শোকার্ত বোন, ক্যাসিয়া মুনহোজ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি হৃদয়বিদারক পোস্টের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গত বৃস্পতিবার মুনহোজ দা সিলভাকে তার নিজ শহর লন্ডরিনায় সমাহিত করা হয়েছে।