মহারাষ্ট্রের ইন্ডিপেনডেন্স কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। একটি বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহ্স্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে মহারাষ্ট্রের নাসিক ভিত্তিক ব্যাঙ্কের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কী কী কারণে ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে?
১) ব্যাঙ্কের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। আগামিদিনে উপার্জনের সম্ভাবনাও উজ্জ্বল ছিল না। সেক্ষেত্রে ১৯৪৯ সালের ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্টের ৫৬ এবং ১১ (১) নম্বর ধারার নিয়ম পালন করতে পারেনি মহারাষ্ট্রের ইন্ডিপেনডেন্স কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক।
২) ১৯৪৯ সালের ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্টের ২২ (৩) (এ), ২২ (৩) (বি), ২২ (৩) (সি), ২২ (৩) (ডি) এবং ২২ (৩) (ই)-এর মতো ধারা মেনে চলতে পারেনি ব্যাঙ্ক।
৩) ব্যাঙ্কের যা আর্থিক অবস্থা ছিল, তাতে গ্রাহকদের পুরো টাকা ফিরিয়ে দিতে পারত না মহারাষ্ট্রের ইন্ডিপেনডেন্স কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক।
৪) সেই ব্যাঙ্কের পরিষেবা চালু রাখলে তা আমানতকারীদের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে। ব্যাঙ্কটি আর যদি কাজ চালিয়ে যেত, তাহলে জনস্বার্থের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ত।
কত টাকা ফেরত পাওয়া যাবে?
১৯৬১ সালের ডিপোজিট ইনসিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (ডিআইসিজিসি) আইনের নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরত পাবেন আমানতকারীরা। ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৯৯ শতাংশের বেশি আমানতকারী ডিপোজিট ইনসিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনের (ডিআইসিজিসি) থেকে পুরো অর্থ পেয়ে যাবেন। গত ২৭ জানুয়ারির মধ্যে ২.৩৬ কোটি টাকা দিয়েছে ডিআইসিজিসি।