কেন্দ্র কোভিড ভ্যাকসিন কেনা নিয়ে নতুন করে কোনও অর্ডার দেয়নি, এই তথ্য ভিত্তিহীন।সোমবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টকে নস্যাৎ করে দিয়ে এই দাবি তুলল কেন্দ্রীয় সরকার।সারা দেশে যেভাবে ভ্যাকসিনের আকাল দেখা দিয়েছে, তারমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ওই রিপোর্ট কেন্দ্রকে যথেষ্টই অস্বস্তির মধ্যে ফেলে।যদি সরকারের দাবি, এই ধরনের রিপোর্ট আদৌ সত্যি নয়।
এদিন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে, গত মার্চ মাসে সেরামকে ১০ কোটি ডোজের অর্ডার ও ভারত বায়োটেককে ২ কোটি ডোজের অর্ডার দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।ওটাই শেষ অর্ডার।এর পরে আর কোনও অর্ডার দেওয়া হয়নি।কিন্তু এই ধরনের তথ্য ভুল।এর কোনও ভিত্তি নেই।সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশিত ওই রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল ১১ কোটি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।তারজন্য ১৭৩২.৫০ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়াও হয়েছে।এছাড়া আগের অর্ডারের জন্য কোভিশিল্ডকে ৮৭৪৪ কোটি টাকা কেন্দ্রের তরফে দেওয়াও হয়েছে।
কেন্দ্রের এই বিবৃতির পর সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফেও এই তথ্য স্বীকার করা হয়েছে।সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সংস্থা কাজ করছে।রাজ্যে যাতে ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়ানো হয়, সেই কাজই দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে।
কোভিশিল্ড ছাড়াও কোভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও কেন্দ্র যে নতুন অর্ডার দিয়েছে, সেকথাও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।কেন্দ্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত বায়োটেককে গত ২৮ এপ্রিল ৫ কোটি ভ্যাকসিন তৈরির অর্ডার দেওয়া হয়েছে।তার জন্য অগ্রিম ৭৮৭.৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।