ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কংগ্রেসকে নিশানা করে রবিবার তির ছুঁড়লেন তিনি। মোদী সরকারের বিদেশনীতি প্রসঙ্গে এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, চিন নিয়ে ক্লাস নেওয়ার জন্য রাহুল গান্ধীকে আহ্বান করছি। কিন্তু আমি দেখলাম তিনি চিনের দূতের কাছ থেকে চিন নিয়ে ক্লাস করছেন। আসলে এর আগে রাহুল গান্ধী চিন নিয়ে মোদী সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করেছিলেন। তারই জবাব দিলেন এস জয়শঙ্কর।
এদিকে ডোকালাম সংকটের সময় রাহুল গান্ধী চিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমি জানি রাজনীতিতে সবটাই রাজনীতি। আমি এটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু কিছু ইস্যুতে আমাদের একটু সংগঠিত মনোভাব পোষন করতে হয় যাতে বিদেশের কাছে আমাদের সংগঠিত অবস্থানকে দুর্বল বলে দেখিয়ে না ফেলি। যেটা গত তিন বছরে আমরা চিনের ক্ষেত্রে দেখছি।
এদিকে নানা ক্ষেত্রে তথ্য়ে বিকৃতি করে ভুল ভাবে উপস্থাপিত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, উদাহরণ হিসাবে বলতে পারি, প্যাংগংয়ের উপর চিন একটা ব্রিজ বানিয়েছিল।কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতিটা হল চিন ওই এলাকায় এসেছিল ১৯৫৯ সালে। এরপর তারা ৬২ সালে জায়গাটি দখল করে। মডেল গ্রামের নাম করে ওরা এখন ওসব করছে। যে জায়গাগুলিতে করছে সেগুলি ৬২ সাল বা তার আগে দখল করা হয়েছিল। কিন্তু আপনি ভুল ছিলেন, আপনি দায়ী, আমি এটা খুব কমই বলি। যেটা হয়েছে সেটা হয়েছিল। এটা আমাদের একটা সংগঠিত ব্যাপার। সেটা আমাদের ব্যর্থতা হতে পারে বা সেটা আমাদের দায়িত্ব হতে পারে। আমি এখানে অযথা রাজনীতির রঙ লাগাতে চাই না।
জয়শঙ্কর বলেন, এটাকে চিন সংক্রান্ত সিরিয়াস ব্যাপার বলেই আমি মনে করি। এটা নিয়ে ভিন্নমত থাকতেই পারে।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও চিন ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে একহাত নিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। একটি কনক্লেভে উপস্থিত হয়ে তিনি রাহুল গান্ধীকে কার্যত তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন।
অন্য়দিকে তিনি ভারত-ইরান সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইরানে বন্দর থাকা সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের কাছে।
অন্যদিকে এসসিও মিটিংয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর কটাক্ষ, যদি আমার কাছে ভালো অতিথি আসেন তবে আমিও ভালো গৃহকর্তা হব। পাকিস্তান জঙ্গিবাদকে তৈরি করে ও সন্ত্রাসবাদী হওয়ার অধিকারকে পোষন করে। কার্যত এবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে দেখা যায়নি ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে। বিলাওয়ালকে দেখে হাত জোড় করে নমস্কার জানিয়ে সম্ভাষণ জানান এস জয়শঙ্কর।