সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের সাংসদের অসুস্থতা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ ছিল, পুলিশি হেনস্থাতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এই আবহে মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা, ডিজিপি রাজীব কুমার সহ পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে ডেকে পাঠিয়েছে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। সেই তলবে আজ স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অবশ্য এর আগেই লোকসভার সচিবালয়ে চিঠি দিয়ে রাজীব জানিয়েছিলেন যে তিনি স্বাধিকার রক্ষা কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন না। (আরও পড়ুন: বাংলায় আরও এক দফায় বাড়বে ডিএ, সরকারি কর্মীদের পকেটে ঢুকবে কত বেশি বেতন?)
আরও পড়ুন: আধার নিষ্ক্রিয়তায় আঁধারে পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ, 'কোন দেশে যাব?' উঠল কাতর প্রশ্ন
উল্লেখ্য, মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা, ডিজিপি রাজীব কুমার ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং অতিরিক্ত সুপার পার্থ ঘোষকে তলব করেছিল লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। সকাল সাড়ে ১০টায় কমিটির সদস্যদের মুখোমুখি হতে বলা হয়েছিল তাঁদের। আজ এই বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। অভিষেক মনু সিংভিও বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের। এরপর শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে সংসদীয় কমিটির এই তলবের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। (আরও পড়ুন: এবার রাজ্যে LPG সিলিন্ডারের 'আকাল', সময়ে গ্যাস না পেয়ে সমস্যায় গ্রাহকরা)
আরও পড়ুন: আধার নিষ্ক্রিয়তার চিঠি পেলে কী করতে হবে? কোথায় মিলতে পারে সমাধানসূত্র?
এদিকে গতকালই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সুকান্ত মজুমদার। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুকান্ত। সেখান থেকে তাঁকে প্রথমে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশি হেনস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুকান্ত। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করে, সুকান্তর অসুস্থতা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতির পা ধরে টেনে ফেলে দিয়েছে দলেরই এক মহিলা কর্মী।
কী ঘটেছিল গত ১৪ ফেব্রুয়ারি?
গত সপ্তাহের বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুকান্ত। এর আগে মঙ্গলবার থেকেই টাকির এক হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সেখান থেকে সরস্বতী পুজো করে সন্দেশখালির পথে যাওয়ার কথা ছিল সুকান্তর। সেই মতো ইছামতীর পাড়ে সরস্বতী পুজো করেন সুকান্ত মজুমদার। অবশ্য বিজেপি অভিযোগ করে, তাদের সরস্বতী প্রতিমার হাত ভেঙে দেয় পুলিশ। সেই নিয়ে একপ্রস্ত বিক্ষোভের পর গাড়িতে উঠে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার চেষ্টা করেন সুকান্ত। তবে সুকান্ত এবং অন্যান্য বিজেপি নেতাদের বাধা দেয় পুলিশ। এর পর পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে আধিকারিকদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। অভিযোগ, তখন তাঁকে টেনে নামানোর চেষ্টা করেন এক পুলিশকর্মী। চলতে শুরু করে পুলিশের গাড়িটি। সেই সময় বনেট থেকে পড়ে জ্ঞান হারান সুকান্ত। যদিও শাসকদলের পালটা দাবি, বিজেপি কর্মীই সুকান্ত পা টেনে তাঁকে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় একাধিক বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে।