রাহুল সিং
কাঁটা লাগানো লোহার রড থেকে শুরু করে পাথর, পেরেকের মতো ধারাল কাঁটা - সীমান্তে বিবাদের সময় এরকমই সব অস্ত্র ব্যবহার করছে চিনা সেনা। তার ফলে গুরুতর আহত হচ্ছেন ভারতীয় জওয়ানরা। তাঁদের সুরক্ষায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মোতায়েন কয়েকটি বাহিনীর জন্য ব্যাটন এবং সুরক্ষাবর্ম বা প্রোটেক্টিভ গিয়ারের বরাত দিল ভারতীয় সেনা। একথা জানিয়েছেন দুই আধিকারিক।
নাম গোপন রাখার শর্তে প্রথম আধিকারিক জানান, গত ৫-৬ মে প্যাংগং সো লেকে চিনা সেনার সঙ্গে হাতাহাতিতে এক কর্নেল-সহ কয়েকজন ভারতীয় জওয়ান আহত হয়েছিলেন। তারপর গত মাসেই মুম্বইয়ের একটি সংস্থাকে এরকম লাইট-গিয়ার রায়োট গিয়ারের বরাত দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় আধিকারিক জানান, প্রথম দফায় শীঘ্রই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন জওয়ানরা ৫০০ সেট সুরক্ষাবর্ম পাবেন। সবমিলিয়ে সেনা ২,০০০ সেট প্রোটেক্টিভ গিয়ার এবং ব্যাটনের বরাত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
এরইমধ্যে প্যাংগং লেকের ঘটনার পর থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত এবং চিনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছিল। সামরিক স্তরে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর মনে হচ্ছিল, দু'দেশের সেনার মধ্যে বরফ কিছুটা গলেছে। কিন্তু তা পুরোপুরি ভুল প্রমাণিত হয় গত সোমবার। সেদিন সকালে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক বৈঠকের পর গালওয়ান উপত্যকায় দু'দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সেখানেও চিনা সেনা বর্বরোচিতভাবে লোহার রড, পেরেকের মতো ধারাল কাঁটা দিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। তার জেরে মৃত্যু হয় ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের। পালটা মার খেয়েছে চিনের ফৌজিরাও। তাদের হতাহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৪৩ বলে সূত্রের খবর।
যদিও জওয়ানদের রায়োট গিয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্তে খুব একটা সন্তুষ্ট নন দুই অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষ কম্যান্ডার। তাঁরা জানান, জওয়ানদের রায়োট গিয়ার দেওয়া যথাযথ নয়। কারণ তাঁদের ভূমিকা পুলিশের মতো নয়।