পুনেগামী দিল্লি স্পাইস জেটের বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল বৃহস্পতিবার। তবে শুক্রবার সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা জানিয়েছে, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এক ট্রেনি টিকিট এজেন্টকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই বন্ধুকে নিয়ে ওই যুবক ফোন করেছিলেন বলে অভিযোগ।
এর আগে স্পাইস জেটের তরফে বলা হয়েছিল,ফোন পাওয়ার পরে আর বিমানটিকে ছাড়া হয়নি। এরপর বিমানটিকে একটি আলাদা জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক জানিয়েছেন যে তার বন্ধু রাকেশ আর কুণাল মানালিতে রোড ট্রিপে যাচ্ছিল। তাদের দুই বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। এদিকে স্পাইস জেটের বিমানে আসার কথা ছিল তাদের। বন্ধুরা তাকে জানিয়েছিল দিল্লি থেকে যাতে দেরিতে বিমানটি ছাড়ে তার ব্য়বস্থা করতে হবে। এরপরই তারা প্ল্যান তৈরি করে যে স্পাইস জেটের কল সেন্টারে ফোন করে বলা হবে যে বিমানে বোমা আছে। সেই মতো ফোন করে তারা। বিমানটি যাতে বাতিল করা হয় সেজন্য তারা এই পরিকল্পনা করেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুণাল আর রাকেশ পালিয়ে গিয়েছে।
বিমান সংস্থা সূত্রে খবর, গত ১২ জানুয়ারি স্পাইস জেটের রিজার্ভেশন অফিসে একটি ফোন আসে। সেখানে বলা হয়, দিল্লি- পুনেগামী ফ্লাইটে বোমা আছে। এদিকে তখনও ফ্লাইটের বোর্ডিং শুরু হয়নি।এরপরই ফ্লাইটটিকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর নিরাপত্তা রক্ষীরা গোটা বিমানে তল্লাশি চালান। তারপরেও কোনও সন্দেহজনক দ্রব্য পাওয়া যায়নি। তারপরে বোঝা যায় ফোনটি আসলে ভুয়ো ছিল।
এদিকে এভাবে গল্প ফেঁদে বিমান বাতিল করার ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ গোটা ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি অন্য দুই বন্ধুর খোঁজেও তল্লাশি চলছে পুরোদমে। এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে বিমান সংস্থায় কাজ করার জেরেই ওই যুবক গোটা ব্যবস্থাটির সঙ্গে পরিচিত ছিল। তার জেরে ফোন করার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। কিন্তু তার দায়িত্ববোধ নিয়েও বড় প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে এর আগে গত ১০ জানুয়ারি বেঙ্গালুরু স্পাইস জেটের বিমান দিল্লি এয়ারপোর্টে অন্তত এক ঘণ্টার জন্য অপেক্ষা করতে হয় বিমানকে। পরে বিমান সংস্থা বিবৃতিতে জানিয়েছিল, আবহাওয়ার কারণে বিমানে দেরি হয়েছিল। ক্রু মেম্বারদের কিছু সমস্যার কথাও বিবৃতিতে জানানো হয়।