সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যুর ঘটনায় শশী থারুরকে ক্লিনচিট দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পুলিশ। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস সাংসদের জবাব তলব করল হাইকোর্ট। আগামী বছর ৭ ফেব্রুয়ারি ফের মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আবেদনের দাখিলে দেরি হওয়া সংক্রান্ত আবেদনের ভিত্তিতেও কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ জারি করেছে হাইকোর্ট। সেই নোটিশের বিরোধিতা করেছিলেন আইনজীবী বিকাশ পাহওয়া। তিনি সওয়াল করেন, নিম্ন আদালত রায়ের ১৫ মাস পরে সেই আবেদন দাখিল করা হয়েছে। যদিও পরবর্তী শুনানিতে সেই বিষয়টি নিয়ে সওয়াল করতে বলেছেন বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা।
উল্লেখ্য, সুনন্দার মৃত্যুর ঘটনায় থারুরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, তা থেকে গত বছরের ১৮ অগস্ট মুক্তি দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেইসময় আদালত জানিয়েছিল, তিরবন্তপুরমের সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি। পুলিশের তরফে যে সব তথ্য পেশ করা হয়েছিল, তা 'সম্পূর্ণভাবে অপর্যাপ্ত'। এমন কোনও তথ্য মেলেনি, যা থেকে প্রমাণ হয় যে সুনন্দাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন থারুর। যা সুনন্দাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Kashmir Files: প্রয়াত স্ত্রী'কে টেনে আনছে… কেন বিবেককে একথা শশী থারুর?
আদালত আরও জানিয়েছিল, পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহের তারারের সঙ্গে থারুর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তাতে সুনন্দা 'হতাশ', 'প্রতারিত' হয়েছেন বলে মনে করলেও তদন্তকারী সংস্থা এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি, যা দেখে মনে হবে যে স্ত্রী'কে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যুর মামলায় শশী থারুরকে বেকসুর খালাসি দিল দিল্লির আদালত
কবে মৃত্যু হয়েছিল সুনন্দার?
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারির রাতে একটি বিলাসবহুল হোটেলের স্যুটে সুনন্দার দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেইসময় থারুররা হোটেলে ছিলেন। কারণ থারুরের সরকারি বাংলোয় সংস্কারের কাজ চলছিল। পরবর্তীতে ওই রুম সিল করে দিয়েছিল পুলিশ। পুরো বিষয়টি নিয়ে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল কংগ্রেস এবং বিজেপির।
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। থারুরের পরিচারক ও কর্মী-সহ ছয়জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছিল। পরবর্তীত ২০১৮ সালের ১৫ মে থারুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারা (স্বামী বা স্বামীর কোনও আত্মীয়ের দ্বারা মহিলার উপর অত্যাচার), ৩০৬ ধারা (আত্মহত্যায় প্ররোচনা)