বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ওই ব্যক্তিকে। কারণ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে মহিলা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন তাঁর সঙ্গে একটা বোঝাপড়ার সম্পর্ক ছিল ওই ব্যক্তির। এটা ওই মহিলাও মেনে নিয়েছিলেন। তারপরেও তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু এনিয়ে আদালত বিশেষ পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে।
তবে ওই ব্যক্তি আদালতে ধর্ষণের মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যিনি অভিযোগ করছেন তিনি তাঁর আইনত স্ত্রী। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে।
অভিযোগকারীর দাবি, তাদের মধ্য়ে ৬ বছরের সম্পর্ক ছিল। তারপর তাদের বিয়ে হয়েছিল ২০১৭ সালে। তার জেরে তাদের সন্তানও হয়েছিল।
দুপক্ষের মতামত শোনার পরে বিচারপতি অভয় এস ওকা ও পঙ্কজ মিথাল এই সিদ্ধান্তে আসেন যে এটা পরস্পরের মধ্য়ে একটা বোঝাপড়ার সম্পর্ক। এটা বিয়ের মিথ্য়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছু করা হয়েছে তেমনটা নয়।
ওই ব্যক্তির আবেদনকে মেনে নিয়েছিল আদালত। এরপরই এই মামলায় যে ফৌজদারি ধারা আরোপ করা হয় তা খারিজ করে দেওয়া হয়। তাদের মধ্য়ে যে সম্পর্ক ছিল এটা ওই মহিলাও মেনে নিয়েছেন। আসল বিষয়টা হল ২০১১ সালে ওই ব্যক্তি ওই মহিলাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে তাদের মধ্য়ে বিয়ে হয়েছিল। তবে তিনি বিয়ের সময়ও কোনও আপত্তিও করেননি। কিন্তু ওই মহিলা বিয়ের ব্যাপারটা অস্বীকার করেন। তাঁর মতে, তাঁদের বিয়ে নিয়ে কোনও অনুষ্ঠান কিছু হয়নি।
আবেদনকারীর দাবি, ওই মহিলা তাঁর আইনগতভাবে বিয়ে করা স্ত্রী। আর যে শিশু জন্ম নিয়েছিল সেটা তারই। এরপরই ওই মহিলাকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয় আদালতের তরফে। মূলত ওই মহিলা ও তাঁর মেয়ের খোরপোষের জন্য এই টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে আদালত।