করোনাভাইরাস লকডাউন বলবৎ করা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করে ইউটিউবে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিলেন। সেজন্য সাংবাদিক বিনোদ দুয়ার বিরুদ্ধে হিমাচল প্রদেশে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তা খারিজের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন দুয়া। সেই মামলার শুনানিতে কেন্দ্র এবং হিমাচল প্রদেশ সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল শীর্ষ আদালত।
বিশেষ শুনানিতে দুয়াকে সুরক্ষাকবচ প্রদান করে বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন অর্থাৎ আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত দুয়াকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। তবে দুয়ার আর্জি খারিজ করে হিমাচল প্রদেশ পুলিশকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। দুয়াকে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার নোটিশে দিল্লির বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। তবে এরকম একটি ‘যুক্তিহীন’ মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলে ভুল বার্তা যাবে বলে সওয়াল করেন দুয়ার আইনজীবী বিকাশ সিং। তবে তা গ্রাহ্য হয়নি।
বিজেপি নেতা অজয় শ্যামের অভিযোগের ভিত্তিতে দুয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা (ধারা ১২৪ এ), অবমাননাকর জিনিসপত্র ছাপানো (ধারা ৫০১)-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত ৩০ মার্চ একটি ভিডিয়োতে দেশজুড়ে লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছিলেন দুয়া। রবিবার তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘যদি এই ধরনের বিষয়ের উপর রাষ্ট্রদ্রোহিতা চাপানো হয়, তাহলে অর্ধেক দেশই রাষ্ট্রদ্রোহিতা করছে। যদি উনি (দুয়া) যা বলেছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা হয়, তাহলে এই দেশে শুধুমাত্র দুটি (সংবাদ) চ্যানেল কাজ করবে।’ তবে তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি।
গত শুক্রবার হিমাচল প্রদেশের একটি দল দুয়ার বাড়িতে যায় এবং গত ৬ মে দায়ের হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য পরদিন সকাল ১০ টার সময় তাঁকে কুমারসেন থানায় হাজির দিতে বলা হয়। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দুয়া। নিজের আবেদনে জানান, বাড়ির সামনে পুলিশ দেখে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন।